বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে কৃষকেরা। কবির ভাষায় "সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা, দেশ-মাতারই মুক্তিকামী দেশের সে যে আশা।" কৃষকরাই আমাদের দেশের প্রাণ। তাদের চেয়ে বড় সাধক আর কেউ নেই। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কঠোর পরিশ্রম করে তারা আমাদের অন্নের যোগান দেয়। তাদের উদ্দেশ্য দেশ ও দশের কল্যাণসাধন। শ্রম, সাধনা, আর ত্যাগ-তিতিক্ষার মহান আদর্শকে ধারণ করে সকলের ঊর্ধ্বে তাদের অবস্থান।
এরই ধারাবাহিকতায় ফেনীর ফুলগাজীতে চলতি মৌসুমে বোরোধানের প্রচুর চাষাবাদ হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায় গত বছর অত্র অঞ্চলে ৪৩০০ হেক্টর বোরোধান চাষাবাদ হলেও চলতি বছর ইতোমধ্যে ৪৬০০ হেক্টর বোরো'র চাষাবাদ হয়েছে এমনটাই জানিয়েছেন ফুলগাজী উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার লুৎফুল হায়দার ভূঞা। তিনি বলেন চলতি মৌসুমে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৬৪২ যা ইতোমধ্যেই পূরণ হয়ে গেছে। তাছাড়া যারা আগাম সরিষা চাষ করেছে তারাও ফসল তুলে তাতে বিআর ২৮ জাতের সল্প মেয়াদি ধান চাষ করতেছে যার ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশী চাষাবাদ হবে বলে আশাবাদী কৃষি কর্মকর্তারা। চলতি মৌসুমে ফুলগাজীর সদর ইউনিয়ন, আমজাদহাট, জিএমহাট,আনন্দপুর, মুন্সিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় বোরোধান চাষাবাদ হয়েছে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে আরো জানান ফুলগাজী উপজেলা উপসহকারী কৃষি অফিসার জামশেদ আলম মিয়াজি জানান ফুলগাজীতে চলতি বছর কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে যার আওতায় ১৬৫০ জন প্রান্তিক কৃষককে ধান বীজ ও ১৫০ জন কৃষককে প্রয়োজনীয় সার বিতরণ করা হয়। তিনি আরো জানান মুন্সিরহাট, আমজাদহাট ও জিএমহাটে নতুন কিছু সেচ প্রকল্প যোগ করায় বোরোর চাষাবাদ বেড়েছে।
এ বিষয়ে কৃষকদের সাথে কথা বললে তাদের মধ্যে কৃষক বেলাল জানায় তারা চলতি বছর সরকারি সব ধরনের সহযোগিতা পেয়েছে। ফলন ঠিকঠাক মত ঘরে তুলতে পারলে ও ধানের নায্য মূল্য পেলে তারা অনেক লাভবান থাকবে।