লোকমান বিএসসিঃ পাহাড়ী ঢলে মুহুরী, কহুযা ও সিলোনিযা নদীর ১৬ স্থানে ভাঙ্গন। ফুলগাজী ও পরশুরামের ২৬ টি গ্রাম সহ বিস্তৃর্ন এলাকা প্লাবিত। ফুলগাজীতে মুহুরি নদীর বাঁধের ৮ টি স্থানে ভেঙ্গে ৮ টি গ্রাম প্লাবিত। রাতের মধ্যে নতুন এলাকা প্লাবনের আশংক। গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে গত কাল মঙ্গলবার রাত ১১.৩০ টায় ফুলগাজীর সদর ইউনিয়নের উত্তর বরইয়া মোকছেদ মিয়ার বাড়ী, উত্তর দৌলতপুর আব্দুর রহিমের বাড়ীর দুই পাশে, উত্তর দৌলতপুর নাপিত কোনা, ও একিই গ্রামের বাহার মিয়া জামে মসজিদের পশ্চিম পাশে মোট ৬ টি স্থানে মুহুরি নদীর বাঁধ ভেঙ্গে ৮ টি গ্রাম তলিয়ে যায়, গ্রামগুলো হলো বনিক পাড়া, উত্তর বড়ইয়া, দক্ষিন বড়ইয়া, উত্তর দৌলত পুর, দক্ষিন দৌলত পুর, ঘনিয়া মোড়া,বিজয় পুর, সাহাপাড়া, গ্রাম এতে গবাদিপশু, পুকুরের মাছ, ঘরবাড়ী, আসবাপত্র, ধানচাউল মিলিয়ে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার সম্পদ ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। উক্ত বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন ফেনী জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায়, এডিএম পিকেএম এনামুল হক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কিসিঞ্জার চাকমা, ফুলগাজী সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, সদস্য সমির প্রমুখ,। এদিকে উত্তর বরইয়া অংশে মুহুরী নদীর ভাঙ্গনে ৪ টি পরিবারের ঘরবাড়ী বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এ সব পরিবারকে সরকারী ভাবে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কিসিঞ্জার চাকমা। বন্যা কবলিত পরশুরামবাসীঃ এদিকে পরশুরামে মুহুরি নদীতে ৪টি পয়েন্টে, কহুয়া নদীর ২টি পয়েন্টে ও সিলোনয়া নদীতে ২ টি স্থানে ভেঙ্গে গেছে। এর মধ্যে কয়েকটি স্থান হলো পরশুরাম পৌর এলাকার খন্দকিয়া, বেড়াবাড়িয়া, মির্জানগর ইউনিয়নের কাউতলিতে ২টি স্থানে, চিথলিয়া ইউনিয়নরে উত্তর শালধর ও দুগাপুর। ফলে এই উপজেলার ১৮ টি গ্রামের ১৫'শ পরিবার চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিষযটি নিশ্চিত করেন পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তিনি বলেন বন্যার পানির তিব্রতা অনেক বেশী। রাতে এ পানি পরশুরাম চাপিয়ে ফুলগাজীতে ঢুকে পড়বে। ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাম গুলোর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হল দূর্গাপুর,রতনপুর,শালধর,বেড়াবাড়িয়া,মোহাম্মদপুর,খোন্দকিয়া,দুবলাচাঁদ,বাউরপাথর,বাউরখুমা,কাউতলী,চম্পকনগর,কালিকৃষ্ণনগর,পশ্চিম অলকা, অনন্তপুর,চিথলিয়া ও সাতকুচিয়া মূহুরী ও কহুয়ার বেড়ীবাধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল বৃষ্টির পানি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে নিমর্জিত। রমজান মাসে সিয়াম সাধনা করতে পারছেনা মানুষ।অনেক স্হানে মসজিদেও পানি ঢুকে পড়েছে।গরু,ছাগল,হাঁস,মুরগী ও গোলার ধান নিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়েছে এ এলাকার মানুষ। অনেক মুরগীর খামার ও মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। এদিকে নদীর পানি এখনও বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মূহুরীর বেড়ীবাধের অনেক স্হানে ফাটল দেখে দিয়েছে। চরম আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে এলাকার মানুষ।