ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছরের মতো এবারও ১৯ বাণিজ্যিক ব্যাংকে বিশেষ কাউন্টারের মাধ্যমে বিলি হচ্ছে নতুন নোট। এ ছাড়াও রাজধানীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল অফিসের পাশাপাশি ২০টি শাখা থেকে নতুন নোট দেওয়া হবে। এই শাখাগুলো থেকে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়া হবে। বৃহস্পতিবার থেকে এ নতুন নোট বিলি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, নতুন নোট বদলে দেওয়ার সুবিধার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিলিসহ বিভিন্ন শাখা অফিসে বিশেষ কাউন্টার খোলা হবে। এসব কাউন্টার থেকে একজন ব্যক্তি ২, ৫, ১০, ২০ ও ৫০ টাকার একটি করে বান্ডিলের মোট ৮ হাজার ৭০০ টাকার নতুন নোট পাবেন। এর বাইরে কেউ চাইলে ১, ২ ও ৫ টাকার কয়েন নিতে পারবেন। সাধারণত নতুন নোট ছেপে বাজারে ছাড়লে মূল্যস্ফীতি বাড়ে। তবে এসব নোটের অধিকাংশই বাজারে প্রচলিত নোট নতুন করে ছাড়ার ফলে মূল্যস্ফীতির ওপর বাড়তি কোনো চাপ তৈরি হবে না বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক আবুল কালামা আজাদ জানান, প্রতি বছরেই ঈদকে সমানে রেখে বাজারে নতুন নোটের চাহিদা বাড়ে। প্রতিবছরের মতো এ বছরও কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন নোট বিলি করার জন্য ১৯ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে নতুন নোট বিলি করা হবে । এ বছর প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বিলি করা হবে। এদিকে, নতুন নোট বদলের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে তিনটি বিশেষ কাউন্টার খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঢাকার বাইরে বগুড়া এবং সব বিভাগীয় শহরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শাখা অফিসে বিশেষ কাউন্টার খুলে নতুন নোট দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস রয়েছে এমন সব শহরের নির্দিষ্ট বাণিজ্যিক ব্যাংকেও একই রকম ব্যবস্থা থাকবে।আজ থেকে ঢাকার যেসব শাখা থেকে পাবেন নতুন নোট:
জনতা ব্যাংকের আব্দুল গনি রোড ও রাজারবাগ, সোনালী ব্যাংকের রমনা, অগ্রণী ব্যাংকের এ্যালিফ্যান্ট রোড, রূপালী ব্যাংকের মহাখালী, ন্যাশনাল ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী, সিটি ব্যাংকের মিরপুর, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাওরানবাজার, এসআইবিএলের বসুন্ধরা সিটি মার্কেট, উত্তরা ব্যাংকের চকবাজার, ঢাকা ব্যাংকের উত্তরা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মোহাম্মদপুর, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মালিবাগ, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো, ইসলামী ব্যাংকের শ্যামলী, মার্কেন্টাইলের বনানী, ব্যাংক এশিয়ার ধানমণ্ডি এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংকের দক্ষিণ খানের এসএমই অ্যান্ড কৃশি শাখা।