
দাগনভূঞা প্রতিনিধি
তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে দাগনভূঞা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রাজাপুর স্কুল এন্ড কলেজে গতকাল বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দিনব্যাপী পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। রাজাপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ছায়েদ আলী এ পিঠা উৎসব উদ্বোধন করেন। এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজাপুর স্কুল এন্ড কলেজের এডহক কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক আবদুল হাইয়ুম জুয়েল, বিরলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির অভিভাবক সদস্য সাংবাদিক শাহজালাল ভূঞা ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন। পিঠা উৎসবে ১৫টি স্টলে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের তৈরি বাহারি পিঠা প্রদর্শন ও বিক্রি করা হয়। এর মধ্যে ভাজা কুলি, গোলাপ পিঠা, সেমাই পিঠা, পাটিসাপটা, ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, সুজি পিঠা, নকশি পিঠা, জামাই পিঠা, সেমাই পিঠা, কস্তুরী পিঠা, জামদানী পিঠা, কুটুম পিঠা, মিষ্টি পুলি, পান্তুয়া, চমচম, ঝুনঝুনি, কেক, দুধমালাইসহ হরেক রকমের বৈচিত্র্যময় পিঠা প্রদর্শন ও বিক্রি করা হয় এবং বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন। প্রথম বারের মতো এই পিঠা উৎসবে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাবেক শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
হারুন অর রশিদ মৃধা নামে স্থানীয় এক সমাজকর্মী বলেন, গ্রামীণ জনপদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রথম বারের মতো পিঠা উৎসব আয়োজন করায় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী বেশ উৎফুল্ল। এই পিঠা উৎসবে শিক্ষার্থী-অভিভাবক ছাড়াও আশপাশের বিপুল সংখ্যক লোকজনের সমাগম হয়েছে। এই ধরণের সৃজনশীল আয়োজন ধারাবাহিক করার দাবী জানান তিনি।
রাজাপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ছায়েদ আলী জানান, তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে এর আগে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন শেষে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এসব কর্মসূচিতে স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা বিজয়ের উল্লাসে তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে।