দাগনভ‚ঞায় বাজার ইজারা নিয়ে
বিএনপির ২ গ্রæপের সংঘর্ষ, আটক ৩৩
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ ফেনীর দাগনভূঞায় বাজার ইজারা নিয়ে দ্ব›েদ্ব বিএনপির দুই গ্রæপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ৩৩ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে গত চার মাস ধরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ভাই ও দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায?ক আকবর হোসেন এবং সদ্য বহিষ্কৃত জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্ব›দ্ব চলছে।
সম্প্রতি দাগনভূঞা বাজারের ইজারা নেন আকবরের এক অনুসারী। এ নিয়ে সোমবার (১৪ এপ্রিল) ফটিকের অনুসারীদের সঙ্গে তাদের বাকবিতন্ডা হয়। এর জের ধরে আজও দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুইপক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় ৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন বলেন, ‘ইজারার ব্যাপারটি প্রশাসনিক বিষয়। সম্প্রতি আমাদের এক কর্মী বাজার ইজারা পাওয়ার পর নিয়মানুযায়ী টাকা তুলতে গেলে বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক বাধা দিয়ে তারা টাকা তুলবে বলে জানান। আজও আমাদের কিছু নেতাকর্মী বাজারে অবস্থান করা অবস্থায় তারা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।’
অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রদল নেতা কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক বলেন, ‘উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেনের লোকজন আগে থেকেই বাজারে এসে মহড়া দেওয়ার ঘোষণা দেন। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকে তারা দাগনভূঞা জিরো পয়েন্টে এসে প্রকাশ্যে গুলি করে। একপর্যায়ে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। এতে যুবদল নেতা চৌধুরী রিয়াদ, লিটন, রাসেল, রিয়াজ, রাজু ও হানিফসহ আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এখন আবার আমাদের কিছু নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করেছে। বিষয?গুলো দলের শীর্ষ নেতাদের অবহিত করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে ফেনীর সহকারী পুলিশ সুপার (সোনাগাজী-দাগনভূঞা সার্কেল) তছলিম উদ্দিন বলেন, ‘দাগনভূঞা বাজার ইজারাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে। একইসময় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের পাশে ককটেল বিস্ফোরণে আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। এ ঘটনায় যৌথবাহিনী দিনভর অভিযান চালিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩৩ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলালের একক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সোনাগাজী এবং দাগনভূঞা উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকেই এ কমিটি বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। ইতোমধ্যে কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে উপজেলা বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নায়িকা দীঘির বিরুদ্ধে কোটি টাকার মামলা করবেন
স্বনামধন্য নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত মুক্তি প্রতীক্ষিত ছবি ‘তুমি আছো তুমি নেই’র পোস্ ...বিস্তারিত