ইয়াছির আরাফাত ;
ফেনীতে ব্র্যাক ব্যাংকের আয়োজনে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ এবং সন্ত্রাসের অর্থায়ন প্রতিরোধে দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা গত ২৯ সেপ্টেম্বর ফেনীর একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। চীপ এন্ট্রি মানি লন্ডারিং কমপ্লেইন্ড অফিসার রেইছ উদ্দিন আহম্মেদ ও এন্ট্রি মানি লন্ডারিং অফিসার ট্রেনিং মোঃ লুৎফর হকের সঞ্চালনায় ফেনী, কুমিলা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ল²ীপুর জেলার ব্র্যাক ব্যাংকের কর্মকর্তারা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় তারা মানি লন্ডারিং আইন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। কর্মকর্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ করতে পারলে সন্ত্রাসের অর্থায়ন অনেকাংশে কমে যাবে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের মাধ্যেই সন্ত্রাসের অর্থায়ন প্রতিরোধ সম্ভব। তাই এ ব্যাপারে ব্যাংক কর্মকর্তাকে মানি লন্ডারিং আইন সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। কারণ মানি লন্ডারিং আর্থিক খাতের সবচেয়ে বড় অপরাধ। অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম অন্তরায়। আমাদের দেশে মানি লন্ডারিংয়ের প্রকৃত পরিমাণ কত, সে হিসাব কারো কাছে নেই। দেশের উন্নয়নের গতিধারা ধরে রাখার জন্য মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ প্রয়োজন। সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ এর মধ্যেই নিয়েছে। যে কারণে মানি লন্ডারিং, সন্ত্রাস ও জঙ্গি অর্থায়ন প্রতিরোধে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশের তালিকায় যাওয়ার আশঙ্কা থেকে মুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি সব বাধা অতিক্রম করে দেশ একের পর এক সাফল্যের চ‚ড়া ¯পর্শ করায় অনেকের কাছে অনুকরণীয় দেশ এখন বাংলাদেশ। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে সরকারের সাফল্য সবার জন্য ঈর্ষণীয়। উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই এখন অন্যতম লক্ষ্য। আর এ জন্যই প্রয়োজন দেশে বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি করা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ করা। কারণ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের মধ্যেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি নিহিত রয়েছে।