“ওসি ডিবি ফেনী” হোয়াটস এ্যাপ একাউন্ট তৈরী করে প্রতারণা
৪ জন গ্রেফতার, ৯টি মোবাইল সেটসহ ৮১টি সিম উদ্ধার
স্টাফ রিপোর্টার :
বৈষম্য বিরোধী মামলা হতে অব্যাহতি দেয়ার নামে “ওসি ডিবি ফেনী” হোয়াটস এ্যাপ একাউন্ট তৈরী করে প্রতারণা। প্রতারক চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার, ৯টি মোবাইল সেটসহ ৮১ টি মোবাইল সিম উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
জানা যায়, মর্ম সিংহ ত্রিপুরা, পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র), অফিসার ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), ফেনী জেলা গত ১১ অক্টোবর স্থানীয় গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পারে, গত কয়েকদিন আগে ফেনী ডিবি বা ওসি ডিবি পরিচয় দিয়ে অথবা ওসি ডিবির নাম “মর্ম সিংহ ত্রিপুরা” পরিচয়ে অজ্ঞাতনামা কতিপয় ব্যক্তি বিভিন্ন জনের সাথে প্রতারণা করে আসছে। পরবর্তীতে তিনি মোবাইল স্ক্রীন শর্টের ছবি পান যে, অজ্ঞাতনামা আসামীরা একটি মোবাইল সিমের মাধ্যমে প্রোপ্রাইল ফিকচারে বর্তমানে ওসি ডিবি হিসাবে কর্মরত মর্ম সিংহ ত্রিপুরা এর পুলিশের পোশাক পরিহিত অবস্থায় চেয়ারে বসা হাফ ছবি এবং কাভার ফিকচারে পুলিশের উর্ধতন অফিসারের সরকারী গাড়ীর ছবি আপলোড করে “ওসি ডিবি ফেনী” নামে হোয়াটস একাউন্ট খুলেছে। সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারী না হয়েও অজ্ঞাতনামা আসামিরা প্রতারণার উদ্দেশ্যে মোবাইল ডিভাইসে মোবাইল সিম দ্বারা হোয়াটস এ্যাপ একাউন্ট খুলে পুলিশের পোষাক পরিহিত ছবি ব্যবহার/ আপলোড করে এবং পুলিশের গাড়ীর ছবি ব্যবহার/ আপলোড করে পুলিশ তথা সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারী হিসাবে মিথ্যা পরিচয় দেয়। প্রাথমিক অনুসন্ধান, ঘটনার সহিত জড়িত আসামিদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের পর ফেনী জেলার ওসি ডিবি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে ফেনী মডেল থানার মামলা নং-৬, তারিখ- ০২/১১/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা-বাংলাদেশ পেনাল কোডের ১৭০/১৭১/৪১৯/৪২০/৩৪ ধারা তৎসহ সাইবার সুরক্ষা আইন অধ্যাদেশ-২০২৫ এর ২২ ধারায় মামলা রুজু হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ হন ডিবির এসআই তানিম। 
ফেনী জেলার পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান সার্বক্ষণিক নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)-র অফিসার ইনচার্জ মর্ম সিংহ ত্রিপুরার প্রত্যক্ষ তদারকীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সহ ডিবি টিম অভিযানে নামে। অভিযানে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন চট্টগ্রামের রাউজান থানার ঘর দুয়ারা গ্রামের আবু বকরের ছেলে মো. জয়নাল (৪০), সাতকানিয়া মৃত ইসমাল চৌধুরী পুত্র মোঃ ইমরান (২৬) ফেনীর শর্শদী ইউপির দক্ষিণ আবুপুর গ্রামের মোঃ আলাউদ্দিনের ছেলে আরিফুল ইসলাম আরমান (১৮) ও চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার বিবিরহাট গ্রামের মৃত মোঃ হোসেনের পুত্র মাহাবুবুর রহমান (৫৬)কে গ্রেফতার করে। আসামীদের কাছ থেকে ৮১টি সীম ও ৯টি মোবাইল পাওয়া যায়।
তাদের মোবাইল ফোন যাচাই করে এবং প্রাথমিক তদন্তকালে জানা যায়, আসামি মাহবুবুর রহমান সহ আসামিরা প্রতারিত করার ভিকটিম এর নাম্বার সংগ্রহ করে। নিজেরা বিভিন্ন সিম ব্যবহার করে ভিন্ন ভিন্ন সরকারী অফিসারের নাম, ছবি বা লোগো আপলোড করে হোয়াটস এ্যাপ একাউন্ট তৈরী করে চাকুরী দেয়া, মামলা হতে অব্যাহতি দেয়ার ইত্যাদি নাম করে ভিকটিমদের ফোন দিয়ে ও মেসেজের মাধ্যমে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেয়।
জব্দকৃত মোবাইলে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। ফেনী ওসি ডিবির নাম করে বৈষম্য বিরোধী মামলা হতে অব্যাহতি দেয়ার নাম করে কথোপকথনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। জব্দকৃত মোবাইলে পুলিশ অফিসারদের ডাউনলোড করা ছবি, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নামের তালিকা সহ মোবাইল নাম্বার পাওয়া যায়। এছাড়াও তারা সরকারী নিয়োগ ও বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে কার্য উদ্ধারের কথা বলে গ্রাহকদের তথ্য সংগ্রহ করে প্রতারণা করে থাকে বলেও জানা যায়। 
আসামিদের নামে ইতোপূর্বেও একাধিক প্রতারণা করার মামলা রয়েছে। আসামিরা একটি বিশাল প্রতারক চক্র গড়ে তুলেছে বলেও জানা যায়। এ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আসামীদের’কে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।                        
						
				
				
								
				নায়িকা দীঘির বিরুদ্ধে কোটি টাকার মামলা করবেন
স্বনামধন্য নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত মুক্তি প্রতীক্ষিত ছবি ‘তুমি আছো তুমি নেই’র পোস্ ...বিস্তারিত

          
                                
                                
                                
                                
                                
                                
	                
	                
	                
	                
  
    











