
ফেনীতে ২৪ এর শহীদ পরিবারের সাথে জেলা
জামায়াতের শুভেচ্ছা বিনিময় ও ঈদ উপহার বিতরণ
সংবাদদাতা :
ফেনীতে ২৪ এর শহীদ পরিবারের সাথে জেলা জামায়াতের পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় ও ঈদ উপহার বিতরণ উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় দারুল ইসলাম ভবনে বুধবার (৪ জুন) বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য মুফতি আবদুল হান্নানের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক জেলা আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া। জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আবদুর রহিমের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক জেলা আমীর ও কুমিল্লা অঞ্চলের টীম সদস্য একেএম শামছুদ্দিন, জেলা নায়েবে আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য অধ্যাপক আবু ইউসুফ। আরো বক্তব্য রাখেন শহীদ শ্রাবনের পিতা নেছার উদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও এডভোকেট জামাল উদ্দিন, শহর জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া বলেন, শহীদরা আমাদের গর্ব। তাঁদের রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা নিঃশ্বাস নিতে পারছি। ’৭১ এর শহীদদের তালিকা আজ পর্যন্ত হয়নি। হয়নি মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও ভূয় মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত হচ্ছে। এখন ২৪ এর আহতদের নিয়েও নানা কথা শোনা যাচ্ছে। প্রকৃত আহতরাই যেন তালিকাভূক্ত হয়। কোন ভূয়া আহত যেন তালিকায় স্থান না পায়।
শহীদরা যে মহান লক্ষ্যে জীবন দিয়েছে সে লক্ষ্য যেন পুরণ হয়। কোন ষড়যন্ত্র যেন তা বাধাগ্রস্ত করতে না পারে। সভাপতির বক্তব্যে মুফতি আবদুল হান্নান বলেন, আওয়ামী অপশক্তির হাত থেকে যারা আমাদের মুক্তি দিয়েছে তারা হচ্ছেন এসব শহীদরা। তিনি সকল শহীদদের মাগফিরাত কামনা করেন। ঈদের পর প্রত্যেক শহীদ পরিবারের সাথে জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ সাক্ষাত করবেন। শহীদ পরিবারের সকল দায়িত্ব সরকারকেই গ্রহন করতে হবে বলে দাবী জানান। তিনি আমীরে জামায়াতের পক্ষ থেকে সবাইকে সালাম জানান।
শহীদ শ্রাবনের পিতা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, শ্রাবন ছিল আমার একমাত্র পুত্র সন্তান। সে দেশের জন্য জীবন দিয়েছে এজন্য আমি গর্বিত। তাদের জীবনের বিনিময়ে যদি দেশ সত্যিকার বৈষম্যহীন দেশ হয় তাহলে তাদের জীবন দান সার্থক হবে। অনুষ্ঠানে ৪ঠা আগস্ট '২৪ এর প্রামান্য চিত্র প্রদর্শিত হয়।
উল্লেখ্য, সেদিন সর্বোচ্চ সংখ্যক তরুণ ফেনীতে শহীদ হন।