ইয়াছির আরাফাত রুবেল >> গত ১০ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফুসফুসে ছিদ্র অসুস্থ ঝুমুকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম।পোষ্টটি ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. হাসান শাহরিয়ার কবিরের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি ঝুমুর পরিবারকে খবর দেন। ঝুমুকে নিয়ে তার পরিবার ফেনী সদর হাসপাতালে গেলে সিভিল সার্জনের দিক নির্দেশনায় বেশ কয়েক জন ডাক্তার ঝুমুর শারীরিক পরিক্ষা করেন এবং ঝুমুকে ঢাকা নেয়ার পরামর্শ দেন। আজ ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবসে শিশু ঝুমুর চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেন সিভিল সার্জন এবং আগামীতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। প্রসঙ্গত-গত ১০ ফেব্রুয়ারির পোষ্টটি- আড়াই বছর বয়সের ছোট্ট মেয়ে ঝুমু আক্তার। এ বয়সে শৈশবের দুরন্তপনায় মেতে থাকবার কথা থাকলেও কি যেন এক অজানা শঙ্কা তার চোখে মুখে।হয়তো সুখ বা অসুখ ভালোভাবে বোঝার বয়সই হয়নি তার। গত দেড় বছর হলো চিকিৎসায় ঝুমুরের ফুসফুসে ছিদ্র ধরা পড়েছে। চিকিৎসকরা বলেছেন জরুরি ভিত্তিতে তাকে অপারেশন করানো দরকার। কিন্তু অর্থের অভাবে শিশুটির চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না।শিশুটির চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ২ লাখ টাকা। কিন্তু তার দরিদ্র পরিবারটির পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব। ঝুমুর বাবার বাড়ি ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়নে। এখন ফেনী পৌরসভার রামপুর সওদাগর বাড়িতে ছোট্ট একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে শিশুটির বাবা মো: হাসানের সংসার। পিকআপ চালক হাসানের সংসার এমনিতে ভালোই চলছিল। কিন্তু বর্তমানে ছোট মেয়ের এই অসুখের কারণে অর্থের অভাবে পারছে না তার চিকিৎসা করাতে, এ নিয়ে সব সময় তিনি থাকেন দুচিন্তার মধ্যে। অসুস্থ শিশুটির মা বলেন, এক বছর বয়স থেকেই ঝুমুর বুকে ব্যথাসহ কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তখন থেকেই বিভিন্ন সময়ে ফেনীর অনেক ডাক্তার দেখিয়েও কানো রোগ ধরা পড়ছিলো না তার। গত দেড় বছর আগে তার ফুসফুসে ছিদ্র ধরা পড়েছে। ঝুমুর পরিবারের পক্ষ থেকে দেশের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। তাকে সাহায্য পাঠাতে যোগাযোগ করতে পারেন তার দাদা মো: ইউসুফ মিয়া-01859260298 —