বহুল আলোচিত ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা একরামুল হক হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আদেলসহ ৩৯ জনের ও বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী মিনার, যুবলীগ নেতা জিয়াউল আলম মিস্টারসহ ১৬ জন আসামীকে খালাস দেয়া হয় ।
৬৩ কার্যদিবস শেষে আজ ১৩ মার্চ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় রায় প্রদান করেন ফেনী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আমিনুল হক।
এর আগে বেলা ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে মামলার ৩৬ আসামীকে প্রিজনভ্যানে করে আদালতে উপস্থিত করা হয় ।
ফেনী জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হাফেজ আহাম্মদ জানান, এ মামলায় ৫৯ জন সাীর মধ্যে বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৫০ জন আদালতে স্যা দিয়েছেন। মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ৫৬ জন আসামির মধ্যে ১৬ জন বিচারিক হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেফতারকৃত আসামীদের ৩৬ জন কারাগারে ১৯জন পলাতক ও র্যাবের হাতে বন্দুক যুদ্ধে একজন নিহত হয়েছেন।
এর আগে ২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরের একাডেমীস্থ বিলাসী সিনেমা হলের সামনে ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সভাপতি একরামুল হক একরামকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে তাকে বহনকারী গাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। ঘটনায় একই দিন রাতে নিহত একরামের বড় ভাই বাদী হলে বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন মিনারকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় একই বছরের ২৮ আগষ্ট পুলিশ ৫৬ জনকে আসামী
করে চার্জশীচ দাখিল করে।
চার্জশীট ভুক্ত মামলা ৫৬ আসামীরা হলো ( ধারাবাহিক ভাবে ১নং আসামী থেকে ৫৬ পর্যন্ত )
মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী মিনার, জাহিদ হোসেন চৌধুরী জিহাদ, আবিদুল ইসলাম আবিদ ,এমরান হোসেন প্রকাম ইঞ্জিনিয়ার রাসেল, জিয়াউর রহমান বাপ্পি ,আজমীর হোসেন রায়হান , শাহজালাল উদ্দিন শিফন পলাতক , কাজী শাহনান মাহমুদ শানান, নুর উদ্দিন মিয়া, আবদুল কাইয়ুম, সাজ্জাদুল ইসলাম পাটোয়ারী সিফাত,
জাহিদুল ইসলাম সৈকত, মো: আবদুল্লাহিল মাহমুদ শিবলু, আবু বক্কর সিদ্দিক বক্কর , আলমগী আলা উদ্দিন, আরমান হোসেন কাউছার সাইফুল করিম পবন, জাহিদ হোসেন ভ’ঞা, হাজী বেলায়েত হোসেন পাটোয়ারী বেলাল মেম্বার , চৌধুরী মো: নাফজ উদ্দিন অনিক, মো: মাসুদ, আবদুর রহমান রউপ, জাহিদুল ইসলাম, ফেরদোস মাহম্মুদ খান হীরা, সজিব, ইকবাল, মো: শাখাওয়াত, জাহাঙ্গির কবির আদিল, জিয়া উল আলম মিস্টার,
মো: সোহেল রুটি সোহেল, পাংক ারিফ হুমায়ুন, ইসমাইল হোসেন, ছুটু, জসিম উদ্দিন নয়ন, মামুন, মো: সোহান চৌধুরী, মানিক, কপিল উদ্দিন মাহমুদ আবির, , টিটু , জিাম উদ্দিন আবু, রাহাত মো: এরফান আমজাদ, শরিপুল জামিল পিয়াস, টিপু, আরিফ ওরপে নাতি আরিফ,
রাশেদুল ইসলাম রাজু ওরপে বাটা রাজু, রুবেল , বাবলু , কাদের, শফিকুর রহমান ময়না , কালা ওরপে কালা মিয়া মো: ইউনুছ ভ’ঞা শামিম ওরপে টপ শামীম , রিপন, ফারুক একরাম হোসেন আকরাম মহি উদ্দিন আনিস ও মোসলেহ উদ্দিন আসিফ ।
জামিন নেয়ার পর পলাতক ৯ আসামীরা হলো
এমরান হোসেন রাসেল ওরপে ইঞ্জিনিয়র রাসেল, জাহিদুল উসলাম সৈকত, চৌধুরী মো: নাফিজ ওরপে অনিক, মো: ইউনুছ ভ’ঞা শামীম ওরপে টপ শামীম, আবিদুল ইসলাম
আবিদ, জিয়াউর রহমান বাপ্পি,নুরুল আফছার জাহিদ চৌধুরী জিহাদ, আরমান হোসেন কাউছার, ও জসিম উদ্দিন নয়ন ।
শুরু পলাতক আছেন ১০ জন আসামী
তারা হলেন, ইসমাø হোসেন ছুট্রু, কপিল উদ্দিন মাহম্মদ আবীর, টিটু, রাতহাত মো: এফরান ওরপে আজাদ শরিফুল ইসলাম পিয়াস, বাবলু, শফিকুর রহমান, একরাম হোসেন আকরাম, মহি উদ্দি আসিন, মোসলেহ উদ্দিন আসীফ ।