বিচারক আগামী ১৩ মার্চ চুড়ান্ত রায়ের দিন ধায্য করে পলাতক ৩০ আসামীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয় আদালত । একই সাথে জামিনে থাকা ২১ আসামীর জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন ।
জেলা জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হাফেজ আহাম্মদ জানান, গত ২৮ জানুয়ারী থেকে একরাম হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হয়। সরকারী ও আসামী পক্ষের টানা যুক্তিতর্ক শেষে মঙ্গলবার সকল আসামীর জামিন বাতিল করে ১৩ মার্চ মামলার রায় প্রদানের তারিখ ঘোষণা করেন।
তিনি আরো জানান, মামলার চার্জশীটভুক্ত ৫৬ জন আসামীর মধ্যে বর্তমানে ১৪ জন কারাগারে, ২৪ জন জামিনে ও ১৭ জন পলাতক রয়েছেন। পলাতকদের মধ্যে ৭ জন জামিনে গিয়ে পলাতক এবং ১০ জন একরাম হত্যা মামলা দায়েরের পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। এছাড়া জামিনে থাকা মো. সোহেল ওরফে রুটি সোহেল নামে একজন আসামী ইতিমধ্যে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন ।
এর আগে ২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরের একাডেমীস্থ বিলাসী সিনেমা হলের সামনে ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সভাপতি একরামুল হক একরামকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে তাকে বহনকারী গাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। ঘটনায় একই দিন রাতে নিহত একরামের বড় ভাই বাদী হলে বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন মিনারকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় একই বছরের ২৮ আগষ্ট পুলিশ ৫৬ জনকে আসামী মামলার চার্জশিট দাখিল করেন ।