শহর প্রতিনিধি:দিদার মজুমদার "উৎপাদনমুখী সমবায় করি,উন্নত বাংলাদেশকে গড়ি" এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ফেনীতে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পালিত হল ৪৬ তম জাতীয় সমবায় দিবস।শনিবার সকালে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে র্যালী শেষ করে জাতীয় পতাকা উত্তলনের মধ্য দিয়ে ফেনী কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক ভবনে জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে আলোচনার সভার আয়োজন করা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবময় দেওয়ানের সভাপতিত্বের ও জেলা প্রশিক্ষক ইকবাল ভূইয়ার সঞ্জলনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায়।বিশেষ অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক সমবায় ইনিস্টিউটের উপাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বি.কম,কেন্দ্রিয় সমবায় কো -অপারেটিভ লিমিটেড সভাপতি এডভোকেট নূর হোসেন,ফেনী জেলা সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বুলবুল, স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সমবায় কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম,শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কাজী কামাল উদ্দিন, মো: কামরুজ্জামান,শেফায়েত উল্লাহ,শাহীনা আক্তার গিয়াস,মাস্টার নুরুল আমিন,আবুল কালাম আজাদ। জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন, সমবায় সমিতেকে জাগিয়ে তুলতে হবে আমাদেরকে। সমবায় কর্মকর্তা যদি সৎ ও নিষ্ঠার মাধ্যমে কাজ করেন তাহলে এ খাতটা আরো উন্নত হবে।সমবায় সমিতির যদি কোন সমস্যা থাকে তা লিখিত আকারে লিখে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে আমার সাথে দেখা করবেন যদি আমার কিছু করার থাকে তা আমি অচিরেই করবো। সমবায় বিশেষ অবদান রাখায় গিয়াস উদ্দিন বুলবুল,এ কে আজাদ চৌধুরী, মাস্টার নুরুল হককে সম্মাননা স্বারক ও ৬ সমিতিতে ক্রেষ্ট প্রধান করা হয়।‘উৎপাদনমুখী সমবায় করি, উন্নত বাংলাদেশ গড়ি’- প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবার দেশে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দিবসটি উপলক্ষে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- র্যালী ও আলোচনা সভা। জানা গেছে, দেশে এই মুহূর্তে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৭৭০টি নিবন্ধিত সমবায় প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১ কোটি ৬ লাখ ৯০ হাজার ৭২৮ জন সদস্য রয়েছে। সমবায় সমিতিগুলোর কার্যকরী মূলধন প্রায় ১৪ হাজার ৫৪ কোটি টাকা এবং মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৭ হাজার ৩২ কোটি টাকা। এ সকল সমবায়ের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৮ লাখ ২৬ হাজার ৭৩৮ জন লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এছাড়াও সমবায়ভিত্তিক ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এখন থেকে আর মাইক্রোক্রেডিট নয়, ‘মাইক্রো সেভিংস’র ব্যবস্থা করা হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক।