সংবাদদাতা >> আপনারা অবগত আছেন দেশনেত্রী তিন তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের ল্েয সড়কপথে ২৮ অক্টোবর ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে বহরে হামলা করা হয় আবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে ফেনীতে তার বহরের পার্শ্বে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই হামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিকরা আহত হয়। ইতিমধ্যে সংবাদপত্র, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে উক্ত হামলায় অংশগ্রহণকারীদের পরিচয় জাতি জানতে পেরেছে। এই হামলা স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগ করেছে।
আজকে ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের প থেকে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেই সংবাদ সম্মেলনে এই হামলার জন্য স্থানীয় বিএনপির গ্র“পিংকে দায়ী করা হয়। অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় বর্তমান সময়ে মিডিয়ার এই যুগে কোন কিছু লুকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। ফেনী আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল হাজারী ইতিমধ্যে তার ফেসবুক একাউন্ট থেকে খালেদা জিয়ার বহরের হামলা নিয়ে একটি ভিডিও চিত্র প্রকাশ করেছে। এই ভিডিও চিত্রে হামলা, হামলাকারী এবং আগামীর পরিকল্পনাসহ সমস্ত কিছু উঠে এসেছে। এ ছাড়া ও দেশের বহুল প্রচারিত জাতীয় প্রত্রিকা সমুহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স মিড়িয়াতে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকৃত হামলাকারী ছাত্রলীগ, যুবলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দের নাম ঠিকানার ছবিসহ প্রকাশিত হয়েছে।
ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগের মূখপাত্র মাহবুবুল আলম হানিফ সাহেব একটি অডিও রেকর্ড প্রকাশ করেছে। রেকর্ডটিতে শুনা যাচ্ছে শাহাদাত হোসেন নামে এক ব্যক্তি খালেদা জিয়ার বহরের হামলার নির্দেশ দিচ্ছে। এই শাহাদাত হোসেন ফেনীর ধর্মপুর ইউনিয়নের ভোটারবিহীন নির্বাচনে নির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন শাকা। এই শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রামের বিএনপির নেতা শাহাদাত হোসেন নামে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করেছে আওয়ামীলীগ। ফেনী ধর্মপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন শাকা ও শর্শদী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জানে আলমকে গ্রেপ্তার করলে সমস্ত পরিকল্পনার মূল রহস্য উদঘাটিত হবে।
ইতিমধ্যে খালেদা জিয়া চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার সময় বহরের অপর পার্শ্বে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা দুইটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা করেছে। উক্ত মামলায় উল্লেখ করেছে ফেনীতে সাবেক এম.পি অধ্যাপক জয়নাল আবদীন গ্রুপ বনাম সাবেক সংরতি আসনের মহিলা সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানুর গ্রুপের মধ্যে বিরোধে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রকৃত সত্যকে গোপন করে সন্ত্রাসীদের রা করার জন্য পুলিশ আষাঢ়ের গল্পের মত একটি কাল্পনিক মামলা করেছে। এখানে উল্লেখ্য ফেনী বিএনপিতে কোন গ্রুপিং নেই।
মা মাটি মানুষের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ফেনী জেলা বিএনপির সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ।
এই হামলার সাথে সত্যিকারে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
ধন্যবাদান্তে-
(এডভোকেট আবু তাহের) (জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ মিষ্টার)
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাধারণ সম্পাদক
ফেনী জেলা বিএনপি ফেনী জেলা বিএনপি