আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন
কক্সবাজার যাওয়া-আসার পথে ফেনীতে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে শনিবার ও মঙ্গলবার দু’দফা হামলার ঘটনায় বুধবার শহরের ফুড গার্ডেন চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে আওয়ামীলীগের সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, ফেনী জেলা বিএনপি বহুগ্রুপ-উপগ্রুপে বিভক্ত। একদিকে ভিপি জয়নাল, অন্যদিকে রেহানা আক্তার রানু, আরেকদিকে আবদুল আউয়াল মিন্টু ও গাজী মানিকসহ অসংখ্য গ্রুপে বিভক্ত। তারা কেউ একে অপরের নেতৃত্ব মেনে নিতে পারেন না। ঘটনার দিন উল্লেখিত গ্রুপগুলো সক্রিয় হয়ে উঠে। এ গ্রুপিংকে পুঁজি করে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশে আন্দোলনের ইস্যু তৈরী করার জন্য খালেদা জিয়ার গাড়ী বহরে থাকা সাংবাদিকদের উপর হামলা করে। নিজাম হাজারী সাংবাদিক সম্মেলনে উল্লেখ করেন, ২০১৩ সালে ফেনী পাইলট হাইস্কুল মাঠে খালেদা জিয়ার সমাবেশেও বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা করেছিল। পরে তা প্রকাশিত হয়।
সংবাদ সম্মেলন নিজাম হাজারী বলেন, আওয়ামীলীগের কোন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী খালেদা জিয়ার গাড়ী বহরে হামলার সাথে জড়িত নয়। আওয়ামীলীগের কোন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের যে ছবি প্রকাশিত হয়েছে তারা সাংবাদিকদের রক্ষায় এগিয়ে এসেছে। ইতোমধ্যে মিডিয়ার প্রকাশিত ও প্রচারিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজ আহমদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুর রহমান বিকম, সহ-সভাপতি এডভোকেট আক্রামুজ্জামান, এডভোকেট প্রিয় রঞ্জন দত্ত, মাস্টার আলী হায়দার, জেলা যুবলীগের সভাপতি ও দাগনভূঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, পরশুরাম উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার, ফেনী জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, সোনাগাজী পৌর মেয়র এডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, ফেনী পৌরসভার প্যানেল মেয়র আশ্রাফুল আলম গিটার, নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।