নিজস্ব প্রতিনিধি>. ফেনীতে কোরবানীর পশুর চামড়া অতিরিক্ত মূল্যে ক্রয় করে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা। ফেনীতে গত বছর দেড় লাখ চামড়া সংগ্রহ হলেও এবার তুলনামূলক অনেক কম হয়েছে। চাহিদা পূরণ না হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
সরেজমিন দেখা যায়, এ বছর ফেনীর পাঁচগাছিয়ার চামড়া ব্যবসায়ীদের ২ লাখ চামড়া সংগ্রহের টার্গেট থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৫০ থেকে ৬০ হাজার। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা মাঠ পর্যায়ের প্রতি চামড়া গরুর ৪০০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা ও ছাগলের চামড়া ৭০-৯০ টাকা দরে ক্রয় করেছে । ক্রয়কৃত চামড়া ফেনীর পাঁচগাছিয়া ও শহরের ট্রাংক রোড়ে বিক্রি করতে এনে মাথায় দিয়ে বসে আছেন অনেকে। এখানে প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া দাম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। খাসির চামড়ার দাম হবে ২০ থেকে ২২ টাকা দর ধরা হলেও তা কার্যকর করা হচ্ছে না।
ঈদের আগে শীর্ষ তিনটি ট্যানারি মালিক এসোসিয়েশন চামড়ার দাম নির্ধারণ করলেও মৌসুমি ও কিছু সাধারণ ব্যবসায়ীরা ট্যানারি মালিকদের সাথে সমন্বয় না করে প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম কমিয়ে দিয়েছে ।
পাঁচগাছিয়া বাজার এলাকার চামড়া ব্যবসায়ী কবির আহম্মদ জানান, গরুর চামড়া ৪০০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকায় কেনা হচ্ছে। এর ওপরে দামে ক্রয় কারা যাবে না । এতে তাদের লস গুণতে হবে ।
ট্রাংক রোডের মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী সিরাজুল হক জানান, যে দামে চামড়া কিনেছি,তার চেয়ে অনেক কম দাম দর হাঁকাছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা । তিনি জানান, না জানি আদৌ লাভের মুখ দেখে সে চামড়া বিক্রি করতে পারবো কিনা।
আরেক ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী জানান, বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা চামড়া সংগ্রহ করার কারণে চামড়া ব্যবসায় ধস
নেমেছে। কারণ তারা চড়া দামে চামড়া সংগ্রহ করছে। প্রাইকারি ব্যবসায়ীরা চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে। তিনি আরো জানান, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম খাত চামড়া। তাই চামড়া বেচা-কেনায় সরকারের সুনির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত।