স্টাফ রিপোর্টার >> ফেনীতে ট্রাক ও পিকআপে একটি ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির নামে স্টিকার লাগিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত সংবাদে জানা যায়, গত ৮ আগস্ট ফেনী জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন মোজাম্মেল এবং ফেনী জেলা পিকআপ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন পারভেজ বিভিন্ন সংস্থার নিকট অভিযোগ করে একটি দরখাস্ত প্রদান করেন। ওই দরখাস্তে তারা অভিযোগ করেন, ভূঞা ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মালিক মোহাম্মদ আলী তার প্রতিষ্ঠানের স্টিকার ব্যবহার করে গাড়ী প্রতি ভর্তি ফি বাবদ ৩ হাজার টাকা ও মাসিক ১ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছেন। ট্রাফিক বিভাগ এই স্টিকার লাগানো গাড়ীগুলোর কোন রকম কাগজপত্র দেখে না এবং মামলা দিয়ে হয়রানি করে না। শতশত গাড়িকে এ স্টিকারের আওতায় আনা হয়েছে। স্টিকার লাগানো গাড়িগুলো বিশেষ আনুকল্য পাওয়ায় তারা বিআরটিএ’র রাজস্ব প্রদান করে না এবং তারা কাউকে তোয়াক্কাও করে না। এতে সরকার ও মালিক পক্ষ উভয়ই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বলে অভিযোগে উলে¬খ করা হয়েছে। অভিযোগকারীগণ অবিলম্বে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান। অভিযোগকারীগণ যে সকল গাড়িতে স্টিকার লাগানো আছে তার কিছু উদাহরণও তুলে ধরেন। যেমনÑঢাকা মেট্রো-ন-৭৮০৬, ফেনী-ট-০৫-০১৬৬, কুমিল¬া-ট-১১-০০২৭, ফেনী-ট-১১-০০২৩, ঢাকা মেট্রো-ট-১৪-০৭৯৪, ফেনী-ট-১১-০২০৩, ঢাকা মেট্রো-ট-১৮১৬৮২, যশোর-ট-১১-০০৩৭। অভিযোগকারীগণ আরো বলেন, গত ৫ আগস্ট আন্তঃজেলা পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ফেনীর পুলিশ সুপারের সাথে বৈঠকে ছাগলনাইয়ার পরিবহন নেতা জসিম উদ্দিন তার বক্তব্যে স্টিকার ব্যবহারের বিষয়টি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী এ প্রতিবেদককে জানান, স্টিকার লাগানোর বিষয়টি তিনি জেনেছেন। এ ব্যাপারে বিআরটিএ’র পরবর্তী সভায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তা উপস্থাপন করা হবে। ফেনী ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মীর গোলাম ফারুক বলেন, স্টিকার লাগানোর বিষয়টি আমরা শুনেছি। আমাদের কাজ হচ্ছে গাড়ির কাগজপত্র সঠিক আছে কিনা দেখা এবং গলদ পেলে মামলা দেয়া। স্টিকারের বিষয়টি আমাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে না।
অপরদিকে, অভিযোগকারীগণ আরো জানান, তারা টোকেন দিয়ে চাঁদা আদায়ের বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক, ডিআইজি হাইওয়ে, আইজিপি, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রেরণ করেছেন। স্টিকার লাগানোর ব্যাপারে ভূঞা ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মালিক মোহাম্মদ আলী জানান, অভিযোগের ব্যাপারে আমি অবগত আছি। অভিযোগ পত্রে যে সকল গাড়িতে স্টিকার লাগানোর কথা বলা হয়েছেÑআমি সেই গাড়ীর মালিকদের সাথে কথা বলেছি এবং তাদের জিজ্ঞাস করেছি ‘আমি আপনাদের থেকে কোন টাকা নিই কিনা ? মালিকরা তাকে কোন প্রকার চাঁদা দেয় না বলে জানান’। ভূঞা ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির সাথে পিকআপ-চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে কোন সম্পর্ক নেই।