সৌরভ পাটোয়ারী,  ফেনীতে ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৬ জুলাই সময়ে ৩৬টি নারী, শিশু নির্যাতন, খুন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এবং এ সব ঘটনার পর র‌্যাবের সাথে ক্রসফায়ারে ২ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
এ সময়ে ফেনী থেকে প্রকাশিত প্রাচীনতম পত্রিকা সাপ্তাহিক হকার্স-এ প্রকাশিত খুন, জখম ও নির্যাতনের যে সকল ঘটনা প্রকাশিত হয়েছে এর বিবরণ উলে¬খ করা হয়েছে।
বিবরণে প্রকাশ, গত ১৪ জানুয়ারি সোনাগাজীর মতিগঞ্জে খিছড়া গ্রামে এক মাদ্রাসা ছাত্র বলৎকারের শিকার হয়। ২৯ জানুয়ারি দাগনভূঞা উপজেলার অলিপুর গ্রামে গৃহবধু ঝর্ণা (৩৩)কে দুর্বৃত্তরা গলাকেটে হত্যা করেছে। ২৬ জানুয়ারি ছাগলাইয়ায় অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ হরিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে পাওয়া গেছে। ২৯ জানুয়ারি শহরের কাজিরবাগ এলাকায় এক শিশু (৫) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। একই তারিখে ফেনী সদর থানার শর্শদিতে একাধিক স্বামী থাকার ঘটনা ফাঁসের খবর পাওয়া গেছে। ২০ ফেব্র“য়ারি সোনাগাজীর মজুপুর গ্রামে ব্যাংক কর্মী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ২৭ ফেব্র“য়ারি ফেনী কলেজে মাস্টার্স পড়–য়া এক ছাত্রীর শ¬ীলতাহানির ঘটনায় কর্মচারী গ্রেফতার হয়েছে। ১৪ মার্চ এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় ছাগলনাইয়া পৌরসভার দক্ষিণ মটুয়া ওয়ার্ডের সাজু (২১) নামে এক যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা হয়েছে। ২১ মার্চ দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউপির মাছিমপুর গ্রামে গৃহবধু কোহিনুর বেগম (২৮) বখাটের অপমান সইতে না আত্মহত্যা করেছে। ২৬ মার্চ পরশুরাম উপজেলার কোলাপাড়া গ্রামে কিশোরী (১৩) ধর্ষণের অপরাধে ধর্ষক আবুল কাশেমকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ২৯ মার্চ ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুরে সাফিয়া খাতুন (৩৫) নামে এক মহিলার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৩১ মার্চ ফেনী শহরের সহদেবপুরে ছেলে ইউসুফের হাতে খুন হন বাবা আবুল কাশেম (৫৫)। এ ঘটনায় ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৬ এপ্রিল সোনাগাজীর ডাকবাংলা থেকে তুলে নিয়ে এক যুবতীকে গণধর্ষণ করার ঘটনায় ফরিদ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই দিন দাগনভূঞার বেকের বাজার এলাকার শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক কিশোর গ্রেফতার। ২ মে সোনাগাজীতে কৃষি কর্মকর্তা ভানু লাল দাসের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই দিন ফেনী রেল স্টেশন এলাকায় রাজীব কুমার সেন (৩৬) নামে রড কোম্পানীর এক কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছে। ১৫ মে সোনাগাজীতে ছাত্রীকে উত্তাক্ত করার ঘটনায় বখাটে যুবক গ্রেফতার। ২০ মে দাগনভূঞায় এক স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মোঃ মাসুদ (২৮) নামে এক যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ২১ মে ফুলগাজীতে প্রতিদ্বন্দ্বি কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে এক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৬ মে ছাগলনাইয়ায় কলেজ ছাত্রী ও তার পিতার উপর বখাটের হামলার ঘটনার ঘটেছে। ২৭ মে ফেনীতে তরুণ ব্যবসায়ী খালেদ মোশাররফকে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। ২৯ মে ফুলগাজী উপজেলার জিএমহাটে স্ত্রী ও কন্যা সন্তানকে হত্যা করেছে ঘাতক স্বামী। ১ জুন সোনাগাজীতে এক স্কুল শিক্ষিকাকে শ¬ীলতাহানির অভিযোগে যুবক গ্রেফতার। ৬ জুন ফেনী কলেজে পরীক্ষা দিতে আসা জিয়া মহিলা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফেনী কলেজের অফিস সহকারী গ্রেফতার। ২৫ জুন সোনাগাজীতে গৃহবধু নাফিজ (২০) পারিবারিক কলহের ঘটনায় আত্মহত্যা করেছে। ১ জুলাই শহরের কামাল হাজারী সড়কের ৫ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। ২ জুলাই ছাগলনাইয়ায় এক গৃহবধু (২৫) এর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৪ জুলাই দাগনভূঞায় ধর্ষিত এক তরুণীর সাথে ধর্ষকের বিয়ে সম্পন্ন করেছে এলাকাবাসী। ৮ জুলাই ফেনী সদর থানার ধলিয়া ইউপির মধ্যম ধলিয়া গ্রামের এক ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। একই তারিখে সোনাগাজীর চর দরবেশ গ্রামের তাসমিয়া আক্তার (২৩) নামে এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ৯ জুলাই ছাগলনাইয়ার বাঁশপাড়া গ্রামের মেহেরুন নেছা (৫৫) নামে এক বৃদ্ধার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। একই তারিখে দাগনভূঞার জায়লস্কর ইউপির উত্তর খুশিপুর গ্রামের ৪র্থ শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ১১ জুলাই শহরের একাডেমী এলাকায় গৃহকর্তী কর্তৃক গৃহকর্মী আমেনা (১০) এক শিশু বর্বর নির্যাতনের শিকার হন। এ ঘটনায় গৃহকর্তী আফরোজা গ্রেফতার হয়। একই তারিখে শহরের নাজির রোডে গৃহকর্মী ফাতেমা (১৪) গৃহকর্তী কর্তৃক নির্যাতন শিকার হয়।
এদিকে, র‌্যাবের সাথে ফেনী পৌরসভার বিরিঞ্চি এলাকায় বন্দুক যুদ্ধে ৩ জুলাই রুটি সোহেল নামে এক সন্ত্রাসী নিহত হয় এবং ১১ জুলাই র‌্যাবের হাতে লেমুয়ায় অজ্ঞাত এক ডাকাত (২৮) নিহত হয়।