ফেনী প্রতিনিধি,১৪ জানুয়ারী: ফেনীর রেহানা আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাতে তারা স্বামী পক্ষের লোকজন ফেনী সদর হাসপাতালে লাশ রেখে পালিয়ে যায়।
নিহত গৃহবধূর স্বজনরা জানান, ২০০৯ সালের ১২ ডিসেম্বর ফেনী সদরের দমদমা গ্রামের আবদুল মুনাফের ছেলে মর্তুজা মিন্টুর সঙ্গে রেহানা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুজন কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বামীর সংসারে সব সময় ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত। বুধবার বিকেলে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কলহের জের ধরে ননদ মনোয়ারা বেগম এবং ভাগ্নে মাইন উদ্দিন তাকে মারধর করে। এতে রেহানা আক্তার অসুস্থ হয়ে পড়েন। সন্ধ্যায় বাজার থেকে বাড়ি ফেরা স্বামীও আবার রেহানাকে মারধর করে। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে রাতে রেহানা মারা যান।
রেহানার পরিবারের অভিযোগ, লাশ রেখে রাতেই স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয় প্রভাবশালীদের হুমকিধামকিতে তারা মামলা না করে বৃহ¯প্রতিবার সন্ধ্যায় লাশ স্বামীর বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হয়।
রেহানার পিতার অভিযোগ, তার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ভয় দেখিয়ে তাকে মামলা করতে দেয়নি স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে স্বামীর বাড়ির লোকজন জানান, রেহানা নিজেই গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।