
মোঃ জয়নুল আবদীন,পরশুরাম প্রতিনিধি:
পরশুরামের বাবাকে গরম তেলে ঝলসে দেওয়া ও চেতনা নাশক ঔষধ সেবনের মামলায় গ্রেফতার মেয়ে ও মেয়ের মামা।
রবিবার (২ মার্চ) পরশুরামের বাবাকে গরম তেলে ঝলসে দেওয়া ও চেতনা নাশক ঔষধ সেবনের মামলার ভিডিও চিত্র ও স্বীকার উক্তিতে মেয়ে ফাতেমা আক্তার নিহাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তার মামা জাবেদের নির্দেশে তার বাবাকে গরম তেলে ঝলসে দেওয়া ও চেতনা নাশক ঔষধ সেবনের কথা স্বীকার করলে দুজনক গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেন পরশুরাম মডেল থানা পুলিশ।
নুরুন্নবী জানান, শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে বিছানায় শোয়া থাকা অবস্থায় আমার মুখ ও শরিরে উত্তপ্ত সয়াবিন তেল ছুড়ে মারে মেয়ে ফাতেমা আক্তার নিহা। এতে আমার মুখসহ শরিরের এক অংশ ঝলসে গেছে। নুরুন্নবী তার স্ত্রীর মাধ্যমে ০৪ জনকে আসামী করে পরশুরাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আমলা আসামিরা হলেন (১) মেয়ে ফাতেমা আক্তার নিহা (২) সালক মোঃ জাবেদ, (৩) শ্বশুর মনির আহমদ (৪) ভাই আব্দুর রহমান।
এদিকে মামলার বিবাদী ও নুরুন নবীর ভাই আবদুর রহিম বলেন,আমি, আমার শ্বশুর মনির আহমদ ও শ্যালক মোঃ জাবেদ এ ঘটনার সাথে জড়িত নই। ঘটনার সময় আমি এলাকায় ছিলাম না। আমাদেরকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। লামিয়া হত্যাকান্ড ধামাচাপা দিতে এটি ঘটনা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
লামিয়ার মৃত্যুর ১ বছর পার হলেও তার হত্যার বিচার এখনো হয়নি। এরইমধ্যে লামিয়ার ছোট বোন ফাতেমা আক্তার নিহা তার বাবাকে গরম তেল নিক্ষেপ করে ঝলসে দিল।
দগ্ধ মোঃ নুরুন্নবীকে (৩৫) ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নুরুন্নবী বাসপদুয়া গ্রামের মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে। ফাতেমা আক্তার নিহা ও লামিয়া নুরুন্নবী ১ম স্ত্রীর সন্তান এবং ২য় স্ত্রীর আগের ঘরের সন্তান সিয়াম।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম জানান, বাবাকে গরম তেল নিক্ষেপের মামলায় মেয়ে ও তার মামাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং মামলার তদন্ত চলমান আছে।
এর আগে গত ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে পরশুরাম পৌরসভার পশ্চিম বাঁশপদুয়া এলাকার কলাবাগানে নিজ বাসায় স্কেচ টেপ দিয়ে হাত, পা ও কালো কাপড় দিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে মোঃ নুরুন্নবীর মেয়ে শিশু লামিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন হেলমেট পরা দুই যুবক। এ সময় নুরুন্নবীর অপর মেয়ে ফাতেমা আক্তার নিহা কৌশলে পালিয়ে পাশের কক্ষে ঢুকে দরজা আটকে দিয়ে প্রাণে রক্ষা পায় বলে তখন জানিয়েছিলেন।