সংবাদদাতা : আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষ্যে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার বেকের বাজারে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সানরাইজ ইনস্টিটিউটের আয়োজনে গতকাল রবিবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া উৎসব রাত পর্যন্ত চলে। এসময় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও অভিভাবক সহ দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভীড়ে লোকারণ্য হয়ে পড়ে।
পিঠা উৎসবে গোলাপ, চামেলী, পদ্ম, অর্কিড, সূর্যমূখী, রজনীগন্ধা, জুঁই, চাঁপা, বেলী স্টলে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের তৈরি করা বাহারি পিঠা প্রদর্শন ও বিক্রি করা হয়। এর মধ্যে ভাজা কুলি, গোলাপ পিঠা, সেমাই পিঠা, পাটিসাপটা, ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, সুজি পিঠা, নকশি পিঠা, জামাই পিঠা, সেমাই পিঠা, কস্তুরী পিঠা, জামদানী পিঠা, কুটুম পিঠা, মিষ্টি পুলি, পান্তুয়া, চমচম, ঝুনঝুনি, কেক, দুধমালাই সহ অর্ধশত রকমের বৈচিত্র্যময় পিঠা প্রদর্শন করা হয়। স্টার লাইন গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান স্টার লাইন ফুড প্রোডাক্টস্ এর বিভিন্ন পণ্য ৫০% ছাড়ে বিক্রি করায় স্টলটিতে অভিভাকদের ভীড় ছিল লক্ষ্যনীয়।
শেষে অংশগ্রহণকারী স্টলসমূহের মধ্যে তিনটি সেরা স্টলকে পুরস্কার বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স.ম আজহারুল হক। স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন দাগনভূঞা থানার ওসি মো: লুৎফুর রহমান। এছাড়া বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক রেজাউল হক মনছুর, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মতিউর রহমান চৌধুরী পলাশ, বাজার কমিটির সভাপতি জহিরুল কাইয়ুম রাহাত। অনুভূতি প্রকাশ করেন অভিভাবক সিদরাতুল মুনতাহা তানহা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স.ম আজহারুল হক তার বক্তব্যে বলেন, “দাগনভূঞাবাসী ঐতিহ্য সংরক্ষণে মা-বোনেরা নানারকম পিঠা তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে সৃষ্টিশীলতা প্রকাশ পেয়েছে। এতে করে শিশু শিক্ষার্থীরা উৎসাহিত এমনকি নতুন নতুন পিঠার সাথে পরিচিতি হতে পেরেছে। তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে সানরাইজ ইনস্টিটিউট অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, গ্রামীণ হাতের তৈরি বিভিন্ন পণ্য নিয়ে স্টল দিতে পারেন। তাহলে বাণিজ্যিকভাবে ওই পণ্যের বিস্তৃতি হতে পারে। যারা শখের বসে বাসা-বাড়িতে খাদ্যপণ্য তৈরি করে পারেন তারাও অনলাইনভিত্তিক ব্যবসার প্রসার ঘটাতে পারেন।”
এর আগে বিকালে স্টার লাইন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান জাফর উদ্দিন ফিতা কেটে পিঠা উৎসব উদ্বোধন করেন। এসময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবিদ উল্যাহ মজুমদার, উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক নাহিদা ইয়াসমিন সহ শিক্ষক-অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন। শেষে রাতে শিক্ষার্থীদের নৃত্য পরিবেশনায় অতিথি ও দর্শনার্থীরা মুগ্ধ হন।
এদিকে স্টার লাইন ফুড প্রোডাক্টস এর স্টলে ছিল উপচেপড়া ভিড়।পিঠা উৎসব উপলক্ষে স্টার লাইনের বিভিন্ন পণ্য ৫০%ছাড়ে বিক্রি করা হয়।