
ভারতের আগরতলাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশনে হামলা ও ফেনীর বিলোনীয়া স্থলবন্দর এলাকায় এসে বাংলাদেশ বিরোধী শ্লোগানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফেনীর পরশুরামে অবস্থিত বিলোনিয়া স্থলবন্দরের সামনে জড়ো হয়ে সমাবেশ করে ফেনী জেলা ছাত্র-জনতা। এর আগে তারা ফেনী পৌরসভার সামনে একত্রিত হয়ে বাসযোগে পরশুরামের বিলোনিয়া গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভের সামনে জড়ো হয়।
বিজিবি ও পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তারা এ কর্মসূচি পালন করে তারা। এসময় কর্মসূচিতে শহীদ, আহত ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতারা ছাড়াও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
এতে বক্তব্য রাখেন জেলা সমন্বয়ক মোহাইমিন তাজিম, মো. ওমর ফারুক, মোহাম্মদ শাওন, ফুলগাজীর সমন্বয়ক আব্দুর রহিম বাবু, সোহাগ, সৌরভ হোসেন, আজিজুল্লাহ আহমদী, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারত বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে মেতেছে। তারা ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক আইন লংগন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে হুমকি দিয়েছে। বাংলাদেশের ছাত্র জনতা এর দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত। শিক্ষার্থীরা বলেন, ভারতের আগরতলায় যা হয়েছে তা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। ভারতের উচিত বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ও ছাত্র-জনতা দেশের প্রশ্নে এক। দেশের যেকোনো সংকটে মানুষ প্রাণ দিতে প্রস্তুত।
এর আগে, ভারতে আগরতলায় উগ্রবাদী হিন্দু সংগঠন ইসকনের নেতৃত্বে সহকারি হাই কমিশনারের হামলা ও গত রবিবার সীমান্তবর্তী এলাকায় উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে ছাত্র জনতা এ কর্মসূচি পালন করেছে।
অপরদিকে সকাল থেকে বাংলাদেশের অংশে বিপুল পরিমাণ পুলিশ ও বিজিবি মোতায়ন করা হয়। ছাত্র জনতাকে কর্মসূচি পালন করার জন্য তিনশো গজের সীমানার বাইরে করার নির্দেশনা দেন বিজিবি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুর রহমান, পরশুরাম-ছাগলনাইয়া (সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ওয়ালী উল্লাহ, বিজিবি ৪ ব্যাটালিয়নের সহকারী অধিনায়ক নুরুল ইসলাম, পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম।