সংবাদ
ফেনীর সোনাগাজীর ডাক-বাংলায় 'মির্জা ফাউন্ডেশন'র উদ্যোগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে গৃহ হস্তান্তর, প্রতিবন্ধি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে অর্থ সহায়তা, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন হয়েছে।
সোমবার বিকেলে ফেনী-সোনাগাজী আঞ্চলিক সড়কের ডাক-বাংলা সড়কের পাশে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইসহাক সরকার। মির্জা গ্রুপ (ফ্রান্স) চেয়ারম্যান, মির্জা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ও আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক মির্জা মাজহারুল ইসলাম।
মির্জা ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান আবেদ আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ ফেনী জেলা শাখার সভাপতি, ফেনী পলিট্যাকনিক ইনস্টিউটের সাবেক ভিপি জাহিদ, মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান যুবদল নেতা দাউদুল ইসলাম মিনার, বিএনপির নেতা মমিনুল হক ভূঞা, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।
প্রধান অতিথি যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইসহাক সরকার বলেন, 'হত্যার সংস্কৃতি হাসিনা সরকার থেকে নয়, শেখ মুজিব থেকে শুরু হয়েছিলো। শেখ মুজিবও গুম চালিয়ে ছিলো। রাজনৈতিক কারণে আমার একাধিক স্বজনও গুম হয়েছে। গুম রোধে বর্তমান সরকার কাজ করছে। আশা করছি দেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি বন্ধ হবে।'
তিনি বলেন, 'বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশ গঠনে কাজ করে চলেছে। স্বৈরাচারী সরকার হঠাতে তারেক রহমানের অবদান অনেক। খুনি শেখ হাসিনাকে দেশের মানুষ আর কখনও মেনে নেবেনা। হাসিনা ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের বিচার হতেই হবে।'
মির্জা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট মির্জা মাজহারুল ইসলাম বলেন, 'দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী, আখিরাত চিরস্থায়ী। আমরা দুনিয়ার সুনাম চাই না, আখিরাতের অর্জন চাই। অনুষ্ঠানে কতজন উপস্থিত হয়েছে সেটি মুখ্য না, মৃত্যুর পর জানাজায় কতজন অংশ নিয়ে দোয়া করেছেন সেটি বিবেচ্য বিষয়। এজন্য মির্জা ফাউন্ডেশন অসহায় মানুষদের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। '
অতিথিবৃন্দ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ১০টি পরিবারকে নতুন ঘর উপহার, প্রতিবন্ধি দুইজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে অর্থ সহায়তা ও ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের ৩৫০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন।
মির্জা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক কাজী আবদুল করিম জানান, ২০১৮ সালের ১৫ মার্চ সোনাগাজীর ডাক-বাংলা এলাকায় মির্জা ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয়। পরে সেটি সারাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে। ফাউন্ডেশন থেকে বিগত সময়ে শিক্ষা সহায়তা, চিকিৎসা সহায়তা, অসহায় মেয়ের বিয়েতে অর্থ সহায়তা, বন্যায় ত্রাণ বিতরণ, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, দুস্থ্য মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ, অসহায়কে সাবলম্বী করতে রিকশা ও অটোরিকশা প্রদানসহ মানবিক কাজ পরিচালনা করছে।
প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, মির্জা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ও সদস্য, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।