
মোতাহের হোসেন ইমরান : সোনাগাজী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কেটিং বিষয়ে এমবিএ পড়ুয়া শহিদুল্লাহ কাওসার পড়াশুনার পাশাপাশি এবার তার নিজস্ব ২৫ শতক জমিতে হাইব্রিড় ও সিমলা জাতের ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন। ২৫ শতক জমিতে খরচ হয়েছে ২৭হাজার টাকা তিনি এ পর্যন্ত ৪০হাজার টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছেন, আরো প্রায় ৩০হাজার টাকার বিক্রি করা যাবে। উৎপাদন খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন সোনাগাজীর কৃষকেরা। ফলে প্রচলিত ফসলের তুলনায় দিন দিন বাড়ছে ক্যাপসিকামের আবাদ। সোনাগাজী কৃষি অফিসের তথ্যমতে, গত বছরের তুলনায় এই বছর দ্বিগুণ ক্যাপসিকামের চাষ হয়েছে। সরকারি সহযোগিতা পেলে ক্যাপসিকাম চাষে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব বলে মনে করছেন অনেকেই। সোনাগাজী উপজেলায় এ বছর ২শ শতক জমিতে সোনাগাজী পৌরসভার ২জন, চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ২জন ও চরমজলিশপুর ইউনিয়নের ১জন সহ মোট ৫ জন কৃষক বানিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন। চরচান্দিয়া ইউনিয়নের সাইদুর রহমান রুবেল নামে একজন ক্যাপসিকাম চাষী জানান, অল্প জমিতে বেশি পরিমাণ ক্যাপসিকাম আবাদ করা যায়। এতে লাভবান হচ্ছেন তারা। বেশি খরচ নেই, পরিচর্যাও বেশি করতে হয় না। এ কারণেই সবার মধ্যে ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহ বাড়ছে। সোনাগাজী পৌরসভার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার প্রতাপ চন্দ্র নাথ জানান, আমরা নিয়মিতভাবে ক্যাপসিকাম চাষে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছি। সোনাগাজী কৃষি সম্প্রসারন অফিসার কৃষিবিদ কাজী শফিউল ইসলাম জানান, ক্যাপসিকাম একটি সম্ভাবনাময় ফসল। কৃষক যদি প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম এক'শ টাকা করেও বিক্রি করে তাহলে এক একর জমি থেকে একজন কৃষক কয়েক লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। সোনাগাজীর মাটি ক্যাপসিকাম চাষের জন্য উপযোগী। ধীরে ধীরে আবাদের পরিধি বাড়ছে। আশা করি সোনাগাজীর কৃষকরা এই ফসল চাষ করে লাভবান হতে পারবেন। সোনাগাজী কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার জানান, ক্যাপসিকাম চাষের সম্ভাবনা রয়েছে এ উপজেলায়। এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের নানাভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন জানান, ক্যাপসিকাম চাষে উৎপাদন খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় সোনাগাজীতে অনেক শিক্ষিত যুবক উৎসাহিত হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে