স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে কয়েকটি পানীয় সম্পর্কে জানানো হল যা খালি পেটে পান করে কড়া ডায়েট অনুসরণ না করলেও ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ধনিয়ার পানি: ধনিয়া হজম রস নিঃসরণ করে হজমক্রিয়া বাড়ায়। এটা আঁশের ভালো উৎস। ধনিয়ার পানি খনিজ ও ভিটামিন, পটাশিয়াম, লৌহ, ম্যাগ্নেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন এ, কে ও সি সমৃদ্ধ।
এক টেবিল-চামচ ধনিয়া বীজ গরম পানিতে ফুটিয়ে সারা রাত রেখে দিন। সকালে ধনিয়া ছেঁকে পানি পান করুন।
জিরা ও লেবুর পানীয়: জিরা বিপাক বাড়িয়ে দ্রুত ক্যালরি পোড়ায় ও হজমক্রিয়া উন্নত করে। সারা রাত জিরার বীজ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ও পরদিন সকালে তা ফুটিয়ে নিন। কুসুম গরম অবস্থায় সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে সকালে খালি পেটে পান করুন।
দারুচিনির সঙ্গে মধু: ঘুমানোর আগে মধু খাওয়া রাতের প্রথমভাগে দ্রুত ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে। মধু প্রাকৃতিক উপাদান যেমন- ভিটামিন, খনিজ ও স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ। মধুর হরমোন ক্ষুধা কমায় ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
দারুচিনি দেহের অভ্যন্তরীন চর্বি কমায় ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর এই মসলা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান সমৃদ্ধ যা সাধারণ ঠাণ্ডা-কাশি, অ্যালার্জি, কোলেস্টেরল, মূত্রাশয়ের সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে।
মেথির পানীয়: মেথি উপকারী ভিটামিন ও খনিজ উপাদান– লৌহ, ম্যাগ্নেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ভিটামিন বি৬, প্রোটিন ও খাদ্য-আঁশ সমৃদ্ধ। এছাড়াও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহনাশক উপাদান। মেথিতে খাদ্য আঁশ বেশি থাকায় তা হজম বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
সারা রাত মেথি বীজ ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে খালি পেটে পান করুন।