ফেনীর স্টার লাইন ফুড প্রোডাক্টস'র ফ্যাক্টরীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট টানা ৭ঘন্টা কাজ করে বৃহস্পতিবার(২৫ ফেব্রুয়ারী)সকাল ৭টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এর আগে বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি)দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।এতে নুডুলস, সেমাই ও বিস্কুট ফ্যাক্টরী প্রায় পুরোটাই পুড়ে গেছে।আগুনে বিভিন্ন যন্ত্রপাতিসহ প্রায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও ফ্যাক্টরীর শ্রমিকরা জানান,ফ্যাক্টরীর একটি ইউনিটে আগুনের সূত্রপাত ঘটে ও পরে তা চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।এছাড়া নিচের দিক থেকে ফ্যাক্টরীর ওপরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার দিকে অগ্রসর হওয়ায় এত ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসময় খবর পেয়ে শ্রমিকদের স্বজনরাও কারখানার সামনে ভিড় জমায়।ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।আগুনের লেলিহান শিখা দেখে স্থানীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফেনী মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান,এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে আঞ্চলিক মহাসড়কটিতে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে। পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরা দমকল বাহিনীকেও সহায়তা করেছে।তবে,এখনও পর্যন্ত কোন প্রাণ হানির খবর পাওয়া যায়নি। স্টার লাইন ফুডের নির্বাহী পরিচালক মো. জাফর উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় প্রায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।এসময় বাজারে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকা কোটি কোটি টাকার শুকনো খাদ্য ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনি দমকল বাহিনীর বরাত দিয়ে বলেন, প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফেনী ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি বলেন, কারখানার কার্টন ইউনিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে থাকতে পারে।ফেনী ছাড়া ও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ,চৌমূহনী ও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা দমকল বাহিনীর ৯টি ইউনিট কাজ করেছে।দমকল কর্মীদের আপ্রাণ চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।