পেয়ার আহাম্মদ চৌধুরীঃ- ফেনীর পরশুরামের মির্জানগর ইউনিয়নে গরুর খড় খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর কোপের আঘাতে আহত ইলেকট্রিশিয়ান ইকবালসহ তার মা, বাবা, ভাই ও মামাসহ পরিবারের সাত সদস্যের বিরুদ্বে পাল্টা মামলা।
উক্ত মামলার বাদী আবদুল হামিদ বাদশা গুরতর আহত ইকবালের দায়ের করা মামলার তিন নম্বর আসামী ছিলেন। আইন অনুযায়ী তিন নম্বর আসামী আবদুল হামিদ বাদশা পলাতক থাকার কথা রয়েছে বলে জানান এডভোকেট ফারুখ।
এর আগে আবদুল খালেক, মো আরিফ, আবদুল হামিদ বাদশা এবং ইয়াছিনকে আসামী করে পরশুরাম থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ আবদুল খালেক ও ইয়াছিনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন । গত ২৯ জানুয়ারি গরুর খড় খাওয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডার জেরে ইলেকট্রিশিয়ান ইকবালকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরতর আহত করে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্বার করে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা তার অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পাল্টা মামলার অপর আসামী হলেন ইলেকট্রিশিয়ান ইকবাল এর চাচা কাজী নুরুন নবী, দুই ভাই জাফর আহাম্মদ, মির হোসেন, বাবা আবদুল মালেক মা তাহেরা বেগম।
উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামে নুর ইসলামের ছেলে আবদুল খালেক, আবদুল হামিদ বাদশা, আরিফ হোসেন গত শুক্রবার ইলেকট্রিশিয়ান ইকবাল হোসেনকে ধারালো দা এবং লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরতর আহত করে।
সূত্র জানান ইকবালের সাথে আবদুল খালেকের পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলছিল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মোস্তাক দুই পক্ষ থেকে মামলা হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।