পেয়ার আহাম্মদ চৌধুরীঃ- পরশুরাম বাজারে এক রাতেই ৫টি দোকানে দূর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ৬লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। এই ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্তরা বাজার বনিক সমিতি ও পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করেছেন। শুক্রবার (২২জানুয়ারি) রাত দেড়টা থেকে ২টার মধ্যে পরশুরাম বাজারের বিভিন্ন স্থানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। পরশুরাম বাজারের মেইন রোডে অবস্থিত নকিয়া টেলিকমের স্বর্তাধিকারী আবদুল কাইয়ুম জানান তাঁর দোকানে সার্টারের তালা ভেঙ্গে ১০হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩৭ হাজার টাকা মুল্যের ৩৬টি এন্ডয়েট ফোন, নকিয়া, স্যাম্পনি সহ বিভিন্ন ধরনের নরমাল ফোনসেট ৫০টি, ব্যাক্তিগত ল্যাপটপ ১টি, বিভিন্ন কাস্টমারের সার্ভিসিং এর জন্য দেয়া এন্ডয়েট ফোন সেট ৭/৮টি, সিম রেজিষ্ট্রেশন, রিচার্জ সহ বিভিন্ন কোম্পানির ডিভাইস ১০টি, পাওয়ার ব্যাংক ৫টি এবং নগদ ৫০হাজার টাকা সহ প্রায় ৫লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এছাড়াও একই সময় নকিয়া টেলিকমের পাশের মাছুম মিয়ার দোকান, দাউদ মিয়ার দোকান এবং ইসলামি ব্যাংকের সামনে সামছুল হক সোহেলের দোকানেও দূর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। সোহেলের পাশ্ববর্তী দোকান রিজমের দোকানেও তালা ভাঙ্গার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে চলে যায়। রিজম জানান ৫/৬মাস আগেও তার দোকানে চুরি করে নগদ টাকা সহ মালামাল নিয়ে যায়। এসব দোকান থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন সহ বিভিন্ন মুল্যবান সামগ্রী চুরির করে নিয়ে গেছে। এছাড়াও কলেজ রোডেও একটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে বাজার বনিক সমিতির নেতারা জানিয়েছেন। পরশুরাম উপজেলা সড়কের এআই টেলিকমের স্বর্তাধিকারী ইকবাল বাবুল জানান পরশুরাম বাজারে আশংকা জনক হারে দোকানে চুরির ঘটনা ঘটছে। তিনি পুলিশ প্রশাসন ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের কাছে নৈশ প্রহরীর টহল বাড়ানোর দাবি জানান। পরশুরাম মডেল থানার এ এস আই বিকাশ বড়–য়া চুরির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। শনিবার দুপুরে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানান। পরশুরাম বাজার বনিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক লোকমানুজ্জামান আজাদ জানান শনিবার কলেজ রোডস্থ্য একটি দোকান সহ পরশুরাম বাজারের মেইন রোডে ৪টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে । ক্ষতিগ্রস্তদের থানায় অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। জানা যায় দীর্ঘদিন ধরে পরশুরাম উপজেলা ও বিভিন্ন বাজারে আশংকা জনক ভাবে চুরির ঘটনা ঘটছে। বিভিন্ন দোকান,বাড়ী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্ধ সহ বিভিন্ন জনের অসংখ্য মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে।