ফেনীতে উপজাতি নারী ধর্ষণের ঘটনায় দায় স্বীকার করে আদালতে ৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে রিকশাচালক মোঃ রিয়াজ (২৬)।ও সেলুন কর্মচারী ছোটন চন্দ্র শীল (২২)। মঙ্গলবার(২০ অক্টোবর) বেলা ৩টার দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালতে উভয় ধর্ষক এ দায় স্বীকার করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. জিলানী।
সেলুন কর্মচারী ছোটন চন্দ্র শীলের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ডের ধর্মপুরে। তার পিতার নাম সমীর চন্দ্র শীল। রিকশাচালক রিয়াজ লক্ষীপুর জেলার কমলনগর থানার জগবন্ধু গ্রামের মোঃ ছাদেকের ছেলে।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ওমর হায়দার জানান, রিকশাযোগে বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় তার বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে পৌর ময়লা ডাম্পিং এলাকায় মোক্তার বাড়ির সামনে রিকশা চালক উপজাতি নারীকে ধর্ষণ করে। পরে অপর ধর্ষক মেয়েটেকে রিকশায় একা দেখতে পেয়ে দেওয়ানগঞ্জ মূল সড়কের পাশে নিয়ে ধর্ষণ করে।
পরিদর্শক (তদন্ত) আরো জানান, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে টহলরত পুলিশের সন্দেহ হলে তাদের ধরে থানায় আনা হয়। পরে মেয়েটির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ধর্ষকদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় সোমবার সকালে মেয়েটি বাদী হয়ে দুজনকে আসামী করে ফেনী থানায় মামলা দায়ের করে। ওইদিন রাত সাড়ে ৭টার দিকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
উপজাতি নারী খাগড়াছড়ি হতে বান্ধবীর উদ্দেশ্যে ফেনীতে এসেছে বলে মেয়েটি পুলিশকে জানায়। বান্ধবী আবুল খায়ের ম্যাচ ফ্যাক্টরীতে চাকরি করে।