ইয়াছির আরাফাত রুবেল ঃ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ ও করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে যানবাহন ও যাত্রীদের নিরাপদ চলাচল নির্বিঘ্নে করতে নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন মহিপাল ও মুহুরীগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ। বিগত ১ জুন থেকে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি ও পুলিশ সুপার কুমিল্লা হাইওয়ে রিজোনের নির্দেশে ফেনী মহিপাল হাইওয়ে থানার ওসি আসাদুজ্জামান অফিসার ও ফোর্স সঙ্গে নিয়ে এ কর্মসূচী পালন করছেন। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্বস্তি আসায় খুশি যাত্রী, পরিবহন মালিক ও সচেতন মহল।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১ জুন থেকে স্বল্পমাত্রায় যান চলাচল শুরু হলে মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে তৎপরতা শুরু করে হাইওয়ে পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন থেকে চাঁদাবাজি করে আসছে একটি চক্র। তাদের কারণে গাড়ি চালক ও মালিকরা অতিষ্ঠ। এই চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হাইওয়ে পুলিশ মাঠে নেমে চালকদের সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালু করেছে। চালকদের সাথে কথা বলে কাউকে কোন প্রকার চাঁদা না দেয়া ও কেউ চাঁদা চাইলে সাথে সাথে তাদের ফোন করে অবগত করার পরামর্শ দেন। এ লক্ষে হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহনগুলোর নির্বিঘ্নে চলাচল ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ নিশ্চিত করতে নানামুখি পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা। প্রতিদিনি মাইকিং ও মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হচ্ছেন তারা। পাশাপাশি বিতরণ করা হয় লিফলেট। এছাড়া প্রতিনিয়ত মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণসহ চালকদের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।