ইয়াছির আরাফাত রুবেল; জন্মের পরপরই মা মারা গেছে, কিছুদিন পর বাবাও মারা যায়। এতিম আরমান বড় হয় দু:সম্পর্কের এক নি:সন্তান নানার কাছে। কেউ কেউ চায় না আরমান আর বেঁচে থাকুক, সেই কারণে রাগে-ক্ষোভে আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেয় আরমান। এমননি ঘটনা ঘটে সোনাগাজীর চরগণেশ গ্রামে। জানা যায়, সোনাগাজীর সোনাপুর গ্রামে আবদুল মজিদের পুত্র আরমান (১২)। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর থেকে সোনাগাজী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের চরগণেশ গ্রামের রফিক মিয়ার তত্ত¡াবধানে বড় হয় এতিম শিশু আরমান। বর্তমানে সে রফিক মিয়ার নতুন বাড়ী রূমা ম্যানশনে বসবাস করছে। আরমান সোনাগাজী গালর্স প্রাইমারী স্কুলের ৩য় শ্রেণির ছাত্র। রফিক মিয়া নি:সন্তান হওয়ায় নিজের ছেলের মত লালন পালন করে আসছে আরমানকে। আরমান রফিক মিয়ার ভূসম্পত্তির ভবিষ্যৎ মালিক হবে এমনটি ভেবে গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রতিবেশি মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে খুরশিদ আলম তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার পিছনে ইট দিয়ে আঘাত করে। আহত আরমানের শোর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। পরে সোনাগাজী মডেল থানায় রফিক মিয়া বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। সোনাগাজী মডেল থানার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক পুলিশ তৎপর হয়ে খুরশিদ আলমকে অনেক খোঁজাখুজি করেও পায়নি। এরপর থেকে খুরশিদ আলম এলাকা থেকে অন্যত্র গা ঢাকা দেয়। খুরশিদ ইতোপূর্বেও আরমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে একবার পুকুরে ফেলে মারতে চেয়েছিল, আরেকবার পিছন থেকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। বিভিন্ন সময় আরমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার ঘটনায় সে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের নিকট বিচার চেয়েও সুবিচার পান নি। তাই আরমান আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেন। কতটুকু কষ্ট থাকলে ১২ বছরের একটি ছেলে আত্মহত্যার কথা চিন্তা করতে পারে এমনটিই জানিয়েছেন তার বর্তমান নানা রফিক মিয়া। আজ ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে নিজ ঘরে গলায় গামচা পেচিয়ে আত্মহত্যা করতে যায় আরমান। নানা রফিক মিয়া ও স্থানীয়রা দেখে তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে আরমান ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। রফিক মিয়া আরো জানান, তার বোন জরিনা খাতুন বর্তমানে পঙ্গু অবস্থার তার বাসায় থাকেন। তিনি এবং আরমান জরিনা খাতুনকে দেখবাল করেন। আরমানকে মেরে ফেললে তার অবর্তমানে স্থানীয় খুরশিদ আলম তাদের সম্পত্তি দখল করে নিবেন। তাই খুরশিদ আলমের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন রফিক মিয়া ও এলাকাবাসী।