পেয়ার আহাম্মদ চৌধুরীঃ→ ফেনীর উন্নয়নের রুপকার আওয়ামী পরিবারের অভিভাবক চট্টগাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, ফেনী ইউনির্ভাসিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি, শেখ হাসিনার সাবেক পটকল অফিসার আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের স্নেহধন্য ছোট ভাই , পরশুরাম পৌরসভার জনন্দিত মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী কে ১৭ সেপ্টেম্বর ত্রি- বার্ষিক সম্মেলন ২০১৯ইং পরশুরাম উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী পরশুরাম উপজেলার নেতাকর্মীরা। সম্মেলনকে ঘিরে ব্যানার, পোষ্টার, গেইট ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পরশুরামের অলি-গলি। সরজমিনে দেখা যায়, আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম কলেজ থেকে বিলোনিয়া পর্যন্ত বাদ যায়নি চিথলিয়া, বক্সমাহমুদ, সুবার বাজার রং-বেরংয়ের ব্যানার, পোষ্টার, গেইট ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে সড়ক গুলো। প্রতিটি , পোষ্টার, গেইট, ফেস্টুন ও ব্যানারে জাতির জনক, দলীয় সভানেত্রী, আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, নিজাম উদ্দিন হাজারী এম পি, খায়রুল বাশার মজুমদার তপন এর ছবির সাথে পরশুরাম পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেলের ছবি শোভা পাচ্ছে। সভাপতি কে হচ্ছেন, এ নিয়ে নেতাকর্মীদের আগ্রহ নেই। সাধারণ সম্পাদক পদ ঘিরেই নেতাকর্মীদের যত উচ্ছাস উদ্দীপনা। আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, ব্যবসায়ী, বন্ধু মহল, দোকানের কর্মচারী নানা শ্রেণি পেশার মানুষ গেইট পোষ্টার ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙ্গিয়ে সমর্থন দিচ্ছেন। তাদের দাবি, দু:সময়ে সব ধরণের সহযোগিতা করেন বিশেষ করে আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে, ব্যাপক জনপ্রিয় মেয়র সাজেল। নেতাকর্মীদের বিপদে পাশে দাড়িয়েছেন তিনি। তাই আগামী ১৭ সেপ্টেম্বরের কাউন্সিলে সাজেল চৌধুরীকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পেতে চান তারা। প্রথমবারের মতো ২০১১ সালের ১৮ জানুয়ারি (মঙ্গরবার) আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে পৌর মেয়র নির্বাচিত হন নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল। সেই থেকে যারাই সহযোগিতার জন্য তাঁর কাছে গিয়েছেন তাদের অকাতরে সহযোগিতা করেছেন। শিক্ষিত নেতাকর্মীদের চাকুরী প্রদান, গবাদি পশু ও মৎস খামার করে বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আর এভাবেই তৃণমূল নেতার্মীদের আস্থাভাজনে পরিণত হন। উপজেলা উন্নয়ন এবং সন্ত্রাস চাঁদাবাজ মাদকের আক্রোশ থেকে যুব সমাজ কে রক্ষা করার স্বার্থে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সাজেল কে দেখতে চায় উপজেলার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের সদস্য এম.শফিক হোসেন মহিম বলেন, তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ... তারুন্যের অহংকার, ছাত্র-যুব সমাজের প্রিয়, তাই সাজেল চৌধুরী-কে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চাই। উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পরশুরাম পৌরসভার সদর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক এনাম জানান, সাজেল ভাই সুখে-দু:খে সব সময় নেতাকর্মীদের পাশে থাকেন। আওয়ামী রাজনীতিতে তাঁর কোন বিকল্প নেই। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাকে দেখতে চাই। কলেজ ছাত্রলীগ এর সাবেক আহ্বায়ক সফিক আহমেদ মজুমদার টিটু বলেন, পরশুরামে তৃনমূলের আস্থ্যার প্রতীক কর্মী গড়ার কারিগর হিসেবে সাজেল চৌধুরীকেই চেনে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও নতুন নেতৃত্ব চায় সব মিলিয়ে সাজেল চৌধুরী'র বিকল্প নাই। এ ব্যাপারে নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল বলেন, আমার এই ৩৯ বছরের জীবনে বিশেষ করে আমার শ্রদ্বেয় বড় ভাই এবং বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ ভক্ত হওয়ার সুবাদে শৈশব কাল থেকেই আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতি গভীর ভাবে আকৃষ্ট ও শ্রদ্ধাশীল। দল যেটা সিদ্ধান্ত নিবে আমি সেটা মেনেই বাংলাদেশের স্থ্যপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল হয়ে দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ হিসেবে মানুষের পাশে আছি, থাকব এবং কাজ করে যাব। এলাকার মানুষ আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রাণ হিসেবে চিনে এবং জানে, আমি সর্বসময় চেয়েছি আজো চেয়ে আসছি দলের কল্যাণে যে কোন বিভেদ দুর করে সবাইকে নিয়ে এক কাতারে দাড়াতে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রকৃত শিক্ষায় হচ্ছে দেশ ও জাতির কল্যাণে সকল বিভেদ ভুলে এক কাতারে দাড়ানো । আমিও সে ভাবেই দলের জন্য কাজ করি এবং জীবনে বেঁঁচে থাকা পর্যন্ত বিশেষ করে পরশুরাম উপজেলার আওয়ামিলীগের সকল ইউনিটের যে কোন প্রকার ভাঙ্গন এড়াতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাবো এবং সফল হব ইনশাআল্লাহ্।