দিদার মজুমদার : ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে ফ্রিজ ক্রেতাদের জন্য ‘মিলিয়নিয়ার ক্যাম্পেইন’ চালিয়েছিল বাংলাদেশী মাল্টিন্যাশনাল ব্রান্ড ওয়ালটন। এর আওতায় ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে এক মিলিয়ন বা দশ লাখ টাকা পেলেন ফেনীর গৃহিনী লায়লা বেগম। ওয়ালটনের ফেনীর একাডেমী রোড শাখার নিজস্ব শো-রুম থেকে গত ২১ জুলাই ২৫ হাজার ৩শ' টাকা দিয়ে ১১ সিএফটি’র একটি ফ্রিজ কেনেন ফেনী ছাগলনাইয়া উপজেলার পশ্চিম পাঠান নগর এলাকার বাসিন্দা লায়লা বেগম। ফ্রিজটি কিনে মোবাইল ফোনে ম্যাসেজের মাধ্যমে তিনি তা রেজিস্ট্রেশন করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই ওয়ালটনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার ফিরতি ম্যাসেজে পান তিনি। জীবনে প্রথম এতো টাকা পাওয়ার আনন্দে আত্মহারা লায়লা বেগম। শনিবার (২৪ আগষ্ট) ওয়াল্টন প্লাজা একাডেমি শাখা সম্মূখে জাঁকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে লায়লা বেগমের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন অতিথিরা। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সাজেদুল পলাশ, ফেনী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম, ফেনী পৌর সভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাহার উদ্দিন বাহার, ফেনী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ আবু তাহের ভূঁইয়া, সামাজিক সংগঠন জোনাকি জন প্রত্যাশার পরিচালক ফজলুল কাদের চৌধুরী শামিম, ওয়ালটন গ্রুপের এরিয়া ম্যানেজার সোহেল রানা,ক্রেডিট মোনিটরিং ফাহিম রেজা,ওয়ালটন প্লাজা একাডেমি রোড শাখার ম্যানেজার সাজেদুল ইসলাম।ফেনী এসএসকে রোড শাখার ম্যানেজার ইমরুল কায়েস,চৌমুহনী শাখার ম্যানেজার মোঃ শাহজাহান,মাইজদি শাখার ম্যানেজার মোঃ রফিকুল ইসলাম,সোনাইমুড়ি শাখার ম্যানেজার মোঃ কামাল হোসেন,দাগনভূঞা প্লাজার ম্যানেজার চন্দন কুমার শীল,ছাগালনাইয়া প্লাজার ম্যানেজার মাহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে লায়লা বেগম বলেন, ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেয়েছি- এটা অকল্পনীয়। যখন ম্যাসেজ পাই, বিশ্বাস হচ্ছিল না। এমনকি প্লাজা ম্যানেজার বলার পরও ভেবেছিলাম- হয়তো মজা করছেন। কেন না জীবনে কোনদিন শুনিনি, একটি ফ্রিজ কিনে কেউ এতো টাকা পেয়েছে। আল্লাহ আমার ভাগ্যেই যে এটা লিখে রেখেছেন তা বুঝিনি। সেজন্য ওয়ালটনকে ধন্যবাদ।ৎ উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে উক্ত মো-রুম থেকে ফেনী সদর উপজেলার পূর্ব কাছাড় গ্রামের সামছুল হকের পুত্র মো. ইয়াছিন প্রিজ কিনে দম লক্ষ টাকার মিলিয়নিয়ার পুরস্কার পেয়েছিল।