মোতাহের হোসেন ইমরান : অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ও পরিচ্ছন্ন একজন রাজনীতিবিদের নাম সোনাগাজী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আ'লীগের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন। ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতা ছাড়াও সমাজ সেবায় আইনঙ্গনেও রয়েছে তার ব্যাপক সুনাম। একজন দক্ষ সংগঠক আর সফল জনপ্রতিনিধি হিসেবেও সমাদৃত তিনি। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আর রাজনৈতিক দৈন্যতায় পৌর এলাকার উন্নয়ন যখন লাল পিতায় বন্দি হয়ে থমকে ছিল, তখন পেশাগত দক্ষতা রাজনৈতিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভাগিয়ে এনেছেন উন্নয়ন কাজ। নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছেন। তৃতীয় শ্রেনির পৌরসভাকে প্রথম শ্রেনির পৌরসভায় রূপ দিয়েছেন। তলাবিহীন ঝুড়ি নামক পৌরসভার দায়ীত্ব নিয়ে দুর্নীতি আর অনিয়মের বিরুদ্ধে লাড়াই করতে গিয়ে পৌর পরিষদের অনেকের বিরাগ ভাজনও হয়েছেন। পৌরসভার কর্মকর্তকর্মচারীদের কর্মকান্ডে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে উপস্থিতি নিশ্চিত সহ জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে গিয়ে পৌরসভার কর্মকর্তকর্মচারীদেরও বিরাগ ভাজন হতে হয়েছে তাকে। তিনি চেয়েছেন সেবাপ্রার্থী নাগরিকদের যেন হয়রানি হতে না হয়। পৌরসভায় জন্মনিবন্ধনের নামে হয়রানি, বয়স বাড়ানো-কমানোর নামে বাণিজ্য, ভবননির্মাণে লাগামহীন দুর্নীতি আর অনিয়ম বন্ধ, বিনা টাকায় নাগরিক সনদ প্রদান, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহন, পৌরসভার জন্য দৈনন্দিন কাজের জন্য রোলার মেশিন ও পিআপ ভাগিয়ে আনা, পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে সুইপারদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে কাজের গতিশীলতা ফিরিয়ে আনা, ভিজিএফ ভিজিডি কার্ডের চাউলের সুষম বন্টন, পৌর অডিটোরিয়াম নির্মাণ, দৃষ্টি নন্দন গেইট নির্মাণ, পৌরসভার গেইট নির্মাণ, উন্নয়ন কাজের গুণগতমান নিশ্চিত করতে গিয়ে ঠিকাদারদের বিরাগভাজন হওয়া, উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত না করে বিল উত্তোলনের রেওয়াজ বন্ধ করা সর্বোপুরি পৌর এলাকার অবকঠামো উন্নয়নে যিনি নির্ঘুম রাত অতিবাহিত করেন তার নামই হচ্ছে মেয়র এডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন। পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে অনেকটা ঠিকানাবিহীন আ'লীগের নেতাকর্মীদের রিক্রিয়েশন, সভা, সমাবেশ তথা রাজনৈতিক কর্মকান্ড সুচারুরূপে পরিচালনার জন্য সোনাগাজী বাজারের প্রাণ কেন্দ্রে উপজেলা আ'লীগের প্রধান কার্যালয় নির্মাণ করেছেন। তার কাছে রাজনৈতিক পরিচয় হচ্ছে সব চেয়ে বড়। মামলা, হামলা, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস আর নৈরাজ্যকে প্রশ্রয় না দিয়ে স্বীয় দলের বিপদগামীদেরও বিরাগ ভাজন হতে হয়েছে তাকে। চোর, ডাকাত, সন্ত্রাসী, জলদস্যু ও দালালদের নৈরাজ্যকে প্রশ্রয় না দিয়ে সোনাগাজীকে শান্তির জনপদে পরিণত করতে প্রাণপণ লাড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন মেয়র খোকন। কখনো কখনো থানা ও ভূমি অফিসের দালাল তথা ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে জিরোটলারেন্সনীতি অবলম্বন করায় দুর্বৃত্তদের বদনজরে পড়ে অপপ্রচারের শিকার হয়েছেন। দলীয় সিদ্ধান্তে কট্রর দায়ীত্ব পালন করতে গিয়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরাগভাজন সহ রোশানলে পড়তে হয়েছে তাকে। ধুমপান না করা একজন রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে সবসময় মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করায় মাদক ব্যবসায়ীদেরও বদনজরে রয়েছেন তিনি। এরপরও তার সংগ্রাম চলছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। দলীয় নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত রাখতে ও তাদের সুখে দুখে ছুটে চলেছেন উপজেলার একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে। দলীয় সকল কর্মসূচী পালন করে যাচ্ছেন দক্ষতার সাথে। সাম্প্রতিক সময়ে ফেনীর সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর মেধা ও রাজনৈতিক কৌশলকে কাজে লাগিয়ে ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় আ'লীগের প্রতিটি ইউনিটের সফল সম্মেলনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছেন। রক্তপাতহীন সম্মেলনের মাধ্যমে উজ্জীবীত নেতাকর্মীদের নিয়ে দলকে যখন তরতর করে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন, তার সফলতার বাধা আসাটা অস্বাভাবিক কিছু না। আগামীতে উপজেলা আ'লীগের সম্মেলন ও পৌরসভার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী থাকাটাও অস্বাভাবিক কিছু না। সব মিলিয়ে মানুষ হিসেবে ভুলত্রুটি থাকাটাও স্বাভাবিক। দরিদ্র রিক্সাচালকদের উপর পুলিশের চাঁদাবাজি ও ধরাছাড়া বাণিজ্যের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সাহসি আন্দোলন করতে গিয়ে অনেক সময় পুলিশের বিরাগভাজন হতে হয়েছে তাকে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর হিসেবে সোনাগাজীর সকল সরকারি অফিসে বেপরোয়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভুমিকা পালন করেছিলেন তিনি। সাধারন মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে হাসপাতালে চিকিৎসক পদায়নের জন্য জোরালো প্রতিবাদ এবং সেবার জন্য চিকিৎকদের দ্বারস্থ হয়ে মানব সেবায় সোচ্চার ভুমিকা পালন করেন তিনি। ফেনীর বিভিন্ন সভাসমাবেশে বক্তব্যের পাশাপাশি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর দ্বারস্থ হয়ে ফেনীর লালপুলে ওভার পাস অথবা আন্ডার পাস নির্মাণের জন্য অভিরাম চেষ্টা চালাচ্ছেন। মানুষের সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ঢাকা বা ফেনী শহরে বসবাস না করে নিজের বাড়িতে বসবাসকারী একজন স্বচ্ছ জনপ্রতিনিধির নাম মেয়র খোকন। সোনাগাজীর সাধারন মানুষের কথা চিন্তা করে নিজের সন্তানদেরকে নিয়ে উচ্চভিলাষী জীবন যাপন না করে সাধাসিধে জীবনযাপনে অব্যস্ত রয়েছেন। সোনাগাজীর বাঁকা নদী সোজা করণ ও সীমানা বিরোধ আন্দেলনের পুরোধা ছিলেন মেয়র খোকন। সোনাগাজীর সব মানুষের কৃতিত্বের সাথে তার কৃতিত্বও ভুলার নয়। সকল আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ও সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছিলেন খোকন। প্রতিহিংসার রাজনীতিতে উম্মাত্ত না হয়ে শান্তি ও সহবস্থানের রাজনীতিতে আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে সোনাগাজী বাসীকে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন তিনি। সমাজ তথা দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিজে একজন আইনজীবী হিসেবে আদালতঙ্গনে সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বমিডিয়ায় স্থান পাওয়া আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলা নিয়ে প্রথম লড়াই ও প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেন তিনি। নুসরাত হত্যা মামলা নিয়ে আ'লীগের গায়ে কালিমা লেপন হতে চলেছে তখন দলের সুনাম ফিরিয়ে আনতে দক্ষতার পরিচয় বহন করেন মেয়র খোকন। রাজনৈতিক হীনমন্যতায় উদাসীন না থেকে নুসরাতের পরিবার