শরিফুল ইসলাম :- ফুলগাজীতে মুঠোফোনের সুত্র ধরে ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ফুলগাজী থানার পুলিশ। তার নাম মো. ইয়াছিন (২২)। তিনি ছাগলনাইয়া উপজেলার পশ্চিম ছাগলনাইয়া এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ তার কাছ থেকে সেনাসদস্যর ছিনতাই হওয়া দুটি মুঠোফোন উদ্ধার করেছেন। গত শনিবার (২৭ জুলাই) ফেনীর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় তার দুই সহযোগী আকাশ (২২) ও রনি (২৩) পলাতক রয়েছেন। ইয়াছিন পুলিশের কাছে ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছেন। রোববার ফেনীর ২ নং আমলী আদালতে আসামীর ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। রেকর্ড শেষে আসামীকে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফুলগাজী থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনির হোসেন জানান, গত ১ জুলাই আমজাদ হাট ইউনিয়নের কিল্লার দীঘি রাস্তার মাথায় সেনাসদস্য মো. শরীফুল ইসলাম (২৫) অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করেন। এসময় একটি অটোরিকশা আসতে দেখে শরীফুল সেটাকে দাঁড়ানোর জন্য ইঙ্গিত দেন। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই যাত্রী বেশে গাড়িতে থাকা ছিনতাইকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় আগাত করেন। অপর দুই সহযোগী আকাশ ও রনি চলন্ত অটোরিকশা থেকে সেনাসদস্যকে সড়কের ওপর ধাক্কা মের পালিয়ে যায়। এসময় তার দুটি মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পুলিশ ছিনতাই হওয়া সেই মুঠোফোনের সুত্র ধরে শনিবার দুপুরে ফেনীর ষ্টেশন এলাকা থেকে ইয়াছিনকে গ্রেপ্তার করেন। তিনি ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কুতুব উদ্দীন বলেন, ছিনতাইকারীরা ভাসমান। তারা অটোরিকশা করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করে বেড়ায়। তিনি বলেন, তার দেয়া তথ্য মতে অপর দুই আসামী আকাশ ও রনিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পালিয়ে থাকা দুই আসামির বাড়ি নোয়াখালী বলে গ্রেপ্তারকৃত আসামী জানান। উল্লেখ্য গত ১ জুলাই উপজেলার আমজাদ হাট ইউনিয়নের কিল্লার দীঘি রাস্তার মাথা নামক স্হানে সেনাসদস্য শরীফুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আগাত করে দুটি মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। স্হানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরদিন ওই সেনা সদস্যকে কুমিল্লা সিএম এইচে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় পুলিশ আবদুল কাইয়ুম নামে একজন অটোরিকশা চালককে গ্রেপ্তার করেন। এ ব্যাপারে সেনা সদস্যর বাবা আমির আলী বাদী হয়ে ফুলগাজী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন।