নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রতি বছররের মত ঈদের দিন পথ শিশুদের নিয়ে ঈদ উদযাপন সম্পূর্ন করেছেন দিদার মজুমদার।এবারের আয়োজনে পথ শিশুদের মধ্য ছিল ৩১ জন ছেলে এবং ৪ জন মেয়ে সহ মোট ৩৫ জন।তিনি এই শিশুদের ঈদের দিন ভোরে নিয়ে আসেন ওদের অস্থায়ী বাসস্থান বস্তি থেকে।তারপর একের পর এক শিশুদের নিজ হাতে গোসল করিয়ে তাদের জন্য আগে থেকে সেলাই করা জামা কাপড় পড়িয়ে সেমাই চিনি খেয়ে ঈদের নামাজ পড়তে মসজিদে নিয়ে যান।নামাজ শেষে তাদের সঙ্গে ঈদ কৌশল করে সকলকে ফেনী রাঝাঝির দিঘীর পাড়ের শিশুপার্কে নিয়ে যান।পার্কে সময় কাটানো শেষে পূনরায় আবার বাসায় নিয়ে এসে পূনরায় আপ্যায়ন করেন।দুপুরে তাদের প্রত্যেকের হাতে বিরিয়ানি সহ বাড়ির জন্য ঈদের সেমাই চিনি পেকেট ও ঈদ সেলামি উপহার দেন।প্রতি বছর এই আয়োজনে চ্যানেল আই'র চিত্র সাংবাদিক দুলাল তালুকদার উপস্থিত থেকে সহযোগীতা করলেও এই বছর তার ব্যাস্ততার জন্য আসতে না পারায় দিদার মজুমদার একাই করেন তার পরিবারের সদস্যদের সহযোগীতায়।এই পথ শিশুদের নিয়ে আয়োজন সম্পর্কে তিনি বলেন এই কাজটি করতে প্রচার বিমুখ যাদের থেকে আর্থিক ও মানসিকভাবে সহযোগীতা পান তাদের নিকট ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।উল্লেখ্য যে ২০১৬ সালে ১০ জন পথ শিশুদের নিয়ে আমি শুরু করি শিশুদের নিয়ে এই ঈদ আয়োজন।বরাবরই ৩ টি বছর আমার সাথে আমার পাশে থেকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে রেখেছে ফেনী চ্যানেল আই চিত্র সাংবাদিক মোঃ দুলাল তালুকদার।এই ঈদ আয়োজনে থাকে ভোর ৫ টা থেকে নানান কার্যক্রম,সকালে সকলকে একত্রিতকরন,গা গোসল,নতুন জামা কাপড় পরিধান,মিষ্টি সেমাই আপ্যায়ন,ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায়,বাসায় পূনরায় আপ্যায়ন,রিক্সা ভ্রমন,পার্কে আনন্দময় ক্ষনিক সময় কাটানো,দুপুরে মোরগ পোলাও ভোজন এবং সর্ব শেষে বিকালে তাদের হাতে ঈদ সালামি ও বাড়ির জন্য পর্যাপ্ত পরিমান ঈদ প্যাকেট ( সেমাই,চিনি,দুধ,নুডলস সহ ইত্যাদি) হাতে দিয়ে যার যার বাড়িতে পৌছে দেয়া।
এই কার্যক্রম গত তিন বছরের প্রথম বছর ১০ জন,২য় বছর ২০ জন এবং ৩য় বছর ৩৫ জনে উন্নিতি করি।ইনশাহআল্লাহ প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও ভিন্ন আয়োজনে থাকার চেষ্টা করেছি এই পথ শিশুদের নিয়ে।এবার আশা করেছি ৩০ জন পথ শিশু ছেলেদের পাশাপাশি পথ শিশু মেয়েদের নিয়ে করার।এই কাজটি করতে আমার কিছু বন্ধুমহল,বড় ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষী বরাবরই সহযোগীতা করে আসছেন আর্থিক ও মানসিক ভাবে।সকলের দোয়া সহযোগীতা ও ভালবাসায় এবারো ভাল একটি ঈদ উপহার শিশুদের দিতে পেরেছি।এই কাজটি করতে গিয়ে নানান অসুবিধায় পড়লেও এতে অন্যরকম একটি আনন্দ আর তৃপ্তি মেলে বলে কাজটি প্রতিবছর করে থাকি।সবাই যখন ঈদে পরিবারের সকলকে নিয়ে আনন্দঘন একটি মুহুত্ব কাটায় তখন আমি ব্যাস্ত থাকি তাদের নিয়ে এবং আমার পরিবারও তাদের জন্য যথেষ্ট কষ্ট স্বীকার করেন।কেননা এদের সকলের জন্য বহুরকমের রান্না ও এদের সামলানো বড়ই কষ্টসাধ্য বেপার যা নিজ চোক্ষে অবলোকন করা ছাড়া বুঝা মুসকিল।পরিশেষে দিদার মজুমদার সকলের কাছে দোয়া ও ভালবাসা চান প্রতি বছর পথ শিশুদের নিয়ে এই ঈদ উদযাপনের ধারাবাহিকতা যেন ধরে রাখতে পারেন।