পরশুরাম প্রতিনিধিঃ
ফেনীর পরশুরাম থানার পুলিশি হয়রানী বন্ধের প্রতিবাদে রবিবার (২ জুন) সকাল ৯টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত ফেনী-পরশুরাম সড়ক অবরোধ করে রাখেন সিএনজি চালক শ্রমিকরা। এতে ফেনী-পরশুরাম সড়কে বাস সহ সকল যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
রবিবার সকাল ৯টা থেকে উপজেলায় বিভিন্ন সড়কের সিএনজি বন্ধ রেখে চালক ও শ্রমিকরা পরশুরাম বাজারের ডাকবাংলা মোড়ে সড়ক অবরোধে অংশ নেয়। এই সময় শ্রমিকরা সড়কে টায়ার জালিয়ে গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখে। এসময় অবরোধকারীরা ওসি তদন্ত খালেদ হোসেন এর বিরুদ্বে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। অবরোধের কারনে শত শত যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
চালকদের অভিযোগ গত শুক্রবার বিকেলে হঠাৎ করে অভিযান চালিয়ে পরশুরাম থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) মু. খালেদ হোসেন সাতটি সিএনজি থানায় নিয়ে আটকে রাখেন, সিএনজির বিরুদ্বে মামলা না দিয়ে বিনা অজুহাতে থানায় দুইদিন ধরে আটকে রাখে এবং চালকদের কে মারধর ও গালিগালাজ করে, শুক্রবার থেকে সিএনজি ষ্ট্রেশনে দফায় দফায় অভিযান চালায় সিএনজি চালকদের কে ভয়ভীতি দেখায়।
পরশুরাম থানার ওসি মো. শওকত হোসেন জানান নিয়ম ভঙ্গ করায় সাতটি সিএনজি আটক করা হয়েছে। আটকৃত সিএনজি গুলি অনটেষ্ট তাই আটকে রাখা হয়েছে।
সিএনজি মালিক সমিতির নেতারা জানান আটককৃত সিএনজি ছাড়িয়ে আনতে গত শুক্রবার রাত ১২টার দিকে পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সাজেলকে নিয়ে থানায় গেলে থানার ওসি মো শওকত হোসেনের সাথে ওসি তদন্ত খালেদ হোসেন প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে যায়।
সিএনজি শ্রমিক কল্যান সমিতির সভাপতি মোঃ বাদল জানান শুক্রবার বিকেলে হঠাত অভিযান চালিয়ে সাতটি সিএনজি থানায় নিয়ে যায়, সিএনজির বিরুদ্বে মামলা না দিয়ে বিনা কারনে থানায় আটকে রাখে, শুক্রবার রাতে ওসি শওকত হোসেন ও পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন সাজেল ভাই অনুরোধ করার পরও ওসি তদন্ত খালেদ হোসেন সিএনজি না ছেড়ে ওসির সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে ।
আটককৃত সিএনজি চালকরা অভিযোগ করেন, ঈদ উপলক্ষে বাড়তি রোজগারের আশায় ছিলেন ,কিন্তু গত দুইদিন ধরে সিএনজি গুলি থানায় আটকে রেখেছে।