পেয়ার আহাম্মদ চৌধুরী
মোঃইউনুছ বয়স ২৮ দু’টি পা অচল দারিদ্রতার কারণে হুইল চেয়ার কেনা হয়নি কখনো। পথ চলতে হয় হামাগুড়ি দিয়ে,দীর্ঘ ১৮ বছর পর ১৫ এপ্রিল সোমবার তার মনের আশা পূরণ করলো। বাংলাদেশ কেমিস্ট্স্ এন্ড ড্রাগিষ্ট্স্ সমিতি পরশুরাম উপজেলা শাখার উদ্যোগে,পরশুরামের ৫টি সেচ্ছাসেবী সংগঠন ফ্রেন্ডস ইউনিটি ব্লাড ডোনার ক্লাব , কূঁড়েঘর ফাউন্ডেশন, বন্ধন স্বেচ্ছা রক্তদান সংস্থা,পরশুরাম ল্যাব এইড ক্লিনিক, পরশুরাম ফারিএ তাদের সার্বিক সহযোগিতা ও বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি পরশুরাম উপজেলা শাখা আয়োজনে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এই কয়েকটি সংগঠন।
পরশুরাম উপজেলার দক্ষিণ গুথুমা গ্রামের হত দরিদ্র মৃত: মোহাম্মদ আলি ও মাতা: সাজু'র
সংসারে জন্ম, পাঁচ ভাই দুই বোনের মধ্যে অামিই মোঃইউনুছ সবার ছোট ছেলে,বাবা প্যারালাইজড হওয়ায় জন্মগত ভাবে পুঙ্গত্ব জীবন নিয়ে সংসারের হাল ধরতে নেমেছি ভিক্ষা করতে,অামার ভিক্ষার টাকায় চলে সংসার, অামি পরশুরাম বাজার প্রায় ৭/৮ বছর যাবৎ ভিক্ষা করি, এই চলার পথেই দেখা হয় ব্যবসায়ী মেহেদি হাছান বাবু ভাইয়ের সাথে, তিনি অামার নাম ঠিকানা এবং সংসারের খোঁজ খবর নিয়ে, ১৫-৪-১৯ ইং সোমবার পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল মামার মাধ্যমে আমাকে একটি হুইল চেয়ার দান করেছে, এই চেয়ার পাওয়ার অাগে হামাগুরি দিয়ে হাতের উপর বর করে চলতে হয়েছে,অনেক সময় রাস্তায় চলতে গেলে মানুষের পায়ের পারার নিচে পরতে হয়েছে,পায়ের অাঙ্গুল এবং হাটুর চামরা উঠে রক্ত বের হয়েছে,এখন অার সে কষ্টটা হবেনা,চেয়ারটা পাওয়ার পর অামি অনেক খুশি,এখন অামার হাটু দিয়ে রক্ত বের হবেনা।
পরশুরাম কেমিষ্ট্স্ এন্ড ড্রাগিষ্ট্স্ সমিতির সভাপতি ইকরামুল হক চৌধুরী পিয়াসের সভাপতিত্বে হুইল চেয়ার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষ সদস্য এম শফিকুল হোসেন মহিম, পৌরসভার সদর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক এনাম, আবু সাহাদাৎ চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান লিটন, পরশুরাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ইন ডোর মেডেকেল অফিসার তৌহিদুল ইসলাম বাবু, এমওডিসি আফতাবউল আলম, উপজেলা ছাত্রলীগ এর আহবায়ক জমির উদ্দিন ভাবন ও পরশুরাম কেমিষ্ট্স্ এন্ড ড্রাগিষ্ট্স্ সমিতির সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাছান বাবু।