পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনের চতুর্থ দফার নির্বাচনে ফেনীর ৬টি উপজেলার মধ্যে ৪টিতে ৫ সহ¯্রাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ও কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এর মধ্যে ফেনী সদর উপজেলায় প্রথমবারের মতো ইবিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থী না থাকায় সকল পদে আওয়ামীলীগ প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হন ও আইনি জটিলতায় ছাগলনাইয়া উপজেলার সকল পদে নির্বাচন স্থগিত করে কমিশন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৩১ মার্চ ফেনীর ৬টি উপজেলার নির্বাচনের কথা ছিলো। ৪ মার্চ মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত সকল পদে একজন করে প্রার্থী থাকায় ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভ করে। পরে ১৪ মার্চ তাদের বিজয়ী ঘোষণা করেন রিাটানিং কর্মকতা। ৬ মার্চ মনোনয়ন বাছাইয়ের শেষ দিন ছাগলনাইয়া চেয়ারম্যান এসএম শহিদুল্লাহ ও আবদুল হালিমের বাতিল হয়। পরবর্তীতে ১৪ মার্চ উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ তাদের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করলে ১৯ মার্চ এ রায়ে চ্যালেঞ্জ করে চেম্বার জজ আদালতে রিট করেন বর্তমান চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার সোহেল। আদালত দুই প্রার্থীর প্রার্থীতা ফিরো পাওয়ার রায় স্থগিত করে ১ এপ্রিল ফুল বেঞ্চ শুনানির দিন ধার্য করেন। আইনি জটিলতার কারণ ২৮ মার্চ এ উপজেলার সকল পদের নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে জেলার বাকী ৪টি উপজেলা মধ্যে ফেনী সদরে চেয়ারম্যান পদে, সোনাগাজী-দাগনভূঞা ও ফুলগাজীতে প্রতীক থাকলেও চেয়ারম্যান পদে কোন প্রতিদ্ব›িদ্বতা হবে না তবে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জেলার ২শ’ ৯২টি কেন্দ্রে নিরাপত্তাকর্মীদের মাধ্যমে স্বচ্ছভোট বাক্স, ব্যালট পেপার, অমোচনীয় কালি ও সিলসহ ভোটার সামগ্রি পঠানো হয়েছে। কয়েকস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন স্থানীয় প্রশাসন। শুক্রবার থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির টহল শুরু হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্র জানায়, ৪টি উপজেলায় ২শ’ ২৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১শ’ ৯৪টি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ও বাকীগুলো কম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যেকটি কেন্দ্রে একটি চায়না রাইফেল, ২টি শর্টগান ৩জন পুলিশ ও ১২জন আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। কম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে একজন পুলিশ কমে ১৪জন সদস্য মোতায়েন থাকবে।
প্রত্যেক ইউনিয়নে পুলিশের ৬ সদস্যের মোবাইল টিম, দুটি ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রনে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে বিশেষ টিম কাজ করছে। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে খোলা হয়েছে মিডিয়া উইং। এছাড়াও স্ট্রাইকিং ও টহল হিসেবে র্যাব ও বিজিবির বেশ কয়েকটি টিম শুক্রবার থেকে তৎপর রয়েছে।
এদিকে প্রথম বারের মতো ফেনী সদর উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হেচ্ছ। জেলার একটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নের ১২৭টি কেন্দ্রের ৮৮২টি ভোট কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে তেমন সাড়া না ফেললেও ২৮ মার্চ শুক্রবার এ উপজেলার প্রত্যেকটি কেন্দ্রে মক ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। যে কোন ধরণের নাশকতা ঠেকাতে যখন-যেখানে যে মাত্রার পদক্ষেপ নেয়ার দরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।