নিজস্ব প্রতিনিধি
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যটি হুবহু তুলে ধরা হলো…..
আমরা ভূমি ভাড়ার চুক্তিবদ্ধ হওয়ার আগে মালিক পক্ষের কাগজপত্র পর্যবেক্ষনে দেখতে পাই যে, নুরুল আমিন কর্তৃক ০৪/০৫/১৯৭৩ তারিখে ৩৮৩৮ নং রেজিস্ট্রি দলিল মূলে ফেনীর ৯৩ নং রামপুর মৌজার ৮২ শতক ভূমি ওয়াক্ফ আওলাদ সম্পত্তি। উক্ত ওয়াক্ফর ওয়ারিশগণ গত ১৫/০৭/২০১৮ তারিখের আম মোক্তার নামা (পাওয়ার অব এটর্নি) মুলে তানভির রহমান ও রুবাইয়াত রহমানকে ওয়ারিশগণ উক্ত ওয়াক্ফ সসম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ, মামলা পরিচালনা, ভাড়া প্রদান, ভাড়া উত্তলনসহ বিভিন্ন শর্তে ক্ষমতা প্রদান করেন। ক্ষমতা প্রাপ্ত মালিক দ্বয়ের সাথে ১১/০৮/২০১৮ তারিখে ফেনীর পুলিশ সুপার শহর ফাঁড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে চুক্তিপত্র সম্পাদন করেন।
এছাড়াও উক্ত ক্ষমতা প্রাপ্ত মালিক দ্বয়ের সাথে ভূমির উত্তরাংশে মনিরুজ্জামান ফকির, খুরশীদ আলম, বখতেয়ার ইসলাম মুন্না ভূমি ও ঘরের ভাড়াটিয়া হিসেবে চুক্তিপত্র সম্পাদন করেন। একই সূত্রে আমরাও গত ০১/১১/২০১৮ তারিখে উত্তরে- মামলাকৃত তর্কিত ভুমির মিডটাউন কনভেনশন সেন্টার, দক্ষিণে- ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ি, পূর্বে- পৌরসভার ড্রেন (পাগলির ছড়া), পশ্চিমে- পৌরসভার হাজী জয়নুল হক সড়ক চৌহাদ্দির আন্দরে ২০ শতক ভূমি ১০ বছরের জন্য ভাড়ায় তানভির রহমান ও রুবাইয়াত রহমানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হই। চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর মালিকদ্বয় আমাদেরকে ভূমির দখল বুঝিয়ে দেন। ভূমিদস্যু ও প্রতারক ইরফানুর রহমান কর্তৃক ভাড়াটিয়াদের সহিত অসদাচরণ ও নানা বিধ কর্মকান্ডে বাধা প্রদান করতে পারে মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় আমাদের মালিকদ্বয় তানভির রহমান ও রুবাইয়াত রহমান তাদের চাচা ইরফানুর রহমানের বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় একটি জিডি নং- ৬৮৫ তারিখ-১৪/১১/২০১৮ দায়ের করেন। এদিকে দখল বুঝে পাওয়ার পর আমরা সে অনুযায়ী ০৩/১১/২০১৮ তারিখ হতে অদ্যবদি ৩০ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে মজা পুকুর ভরাট, সীমানা প্রাচীর, টয়েলেট ও স্টাফ ব্যারাক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করি। পাশাপাশি গত ০৩/১২/২০১৮ তারিখে ফেনী পৌরসভা হতে ইস্টিশন কাবাব এন্ড রেস্টুরেন্ট এর নামে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করি। আমাদের রেস্টুরেন্টের নির্মাণ কাজ চলা অবস্থায় গত ১৮/০৩/২০১৯ তারিখ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফেনী শহর ফাঁড়ির এএসআই মোহাম্মদ সোহেল রানা রাজুর মারফত মালিকের পক্ষে ফৌজদারি কার্য বিধির ১৪৫ ধারা মতে আদালতের স্থিতাবস্থার নোটিশ গ্রহণ করি। আদালতের আদেশ সম্মানপূর্বক আমরা তাৎক্ষণিক নির্মাণ কাজ বন্ধ করি।
সাংবাাদিক বন্ধুগণ,
এদিকে আমরা ভূমিটি ভাড়া নেয়ার পর হতে মিডটাউন কনভেনশনের অংশীদার মালিক ও ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ব্যাতিক্রম কমিউনিটি সেন্টারের জবর দখলকারী নাসির উদ্দিন খোকন এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা, প্রতারক, মাফিয়া সম্পৃক্ততায় আমেরিকা থেকে বহিস্কৃত বাটপার ইরফানুর রহমান তাদের অনুষ্ঠানের গাড়ী পাকিং এর জন্য আমাদের ভাড়াকৃত ভূমি দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। একাধিকবার তারা সন্ত্রাসী মটর সাইকেল বাহিনী দিয়ে আমাদের অবর্তমানে আমাদের নির্মাণ শ্রমিকদের গালমন্দ ও আমাদেরকে হত্যার হুমকি দেয়। চাঁদাবাজ খোকন শহীদ শহীদুল্লাহ্ সড়কের এফ রহমান এসি মার্কেটের সামনে গরীব চটপটি বিক্রেতার কাছ থেকে মাসিক চাঁদা আদায় করার কারণে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের ধিক্কারের শিকার হয়। শহরে প্রকাশ আছে যে এই খোকন ফেনীর মেয়র জনাব হাজী আলাউদ্দিনের ব্যাক্তিগত সহকারী অবস্থায় ওনার নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি ও ধান্ধাবাজির কারণে তাকে দায়িত্ব থেকে বিতারিত করা হয়। এদিকে ওয়াক্ফ আওলাদ
চলমান পাতা-০২
পাতা-০২
সম্পতির ওয়ারিশগণের ক্ষমতা প্রাপ্ত তানভির রহমান ও রুবাইয়াত রহমান তাদের জিডিতে উল্লেখ করেন ওয়াক্ফকারি ও প্রথম মোত্তয়াল্লি তাদের দাদা নুরুল আমিনের মৃত্যুর পর তাহার একাধিক পুত্র সন্তান মোত্তয়াল্লির দায়িত্ব পালন করত: মৃত্যু বরণ করেন। সর্বশেষ নুরুল আমিনের সর্ব কনিষ্ট সন্তান ও তাদের চাচা ইরফানুর রহমান ওয়াক্ফ সম্পত্তির দেখভাল করছিল। প্রতারক ইরফানুর রহমান ৮২ শতাংশ ওয়াক্ফ ভূমির দলিল সৃজনের প্রায় ৪মাস পর ২৩ শতাংশ ভূমির জাল দলিল (নং-৫৮৫৮ তাং-২৩/০৮/১৯৭৩) সৃজন করত: সম্প্রতিকালে তা উপস্থাপন করে ভূমি আত্মসাতের চেষ্টায় নামে। এমতাবস্তায় তাদের দাদা নুরুল আমিনের ওয়ারিশগণ বিষয়টি অবগত হয়ে তাদের দুইজনকে উক্ত সম্পত্তি রক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব অর্পণ করেন। তারা ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়ে চাচা ইরফানুর রহমানের ২৩ শতাংশ ভূয়া দলিলের বিরুদ্ধে ফেনী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দলিল বাতিলের মামলা (নং- দেওয়ানী ৩১/২০১৭ ও বিবিধ ১৬/২০১৭) দায়ের করেন। বর্তমানে মামলা চলমান। অন্যদিকে ইরফানুর রহমান ওয়াক্ফ সম্পত্তি ব্যাক্তি সম্পত্তি দাবী করে গত ২৯/১১/২০১৮ তারিখে আদালতে একটি বন্টনের মামলা দায়ের করে। সে মামলাটিও বিচারাধীন।
সাংবাদিক বন্ধুগণ
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আমরা মালিক পক্ষ নই। আমরা ভাড়াটিয়া। অথচ ইরফানুর রহমান গং গতকাল ২০/০৩/২০১৯ তারিখে মিডটাউন কনভেনশন হলে একটি সংবাদ সম্মেলনে সম্পূর্ন অসৎ উদ্দেশ্যে একটি দুষ্ট চক্রের সহায়তায় আমাদের বন্ধু ও ব্যবসায়ী অংশীদার সাংবাদিক বখতেয়ার ইসলঅম মুন্নার নাম ব্যানারে দিয়ে এবং আমাদের একাধিক ব্যবসায়ীক অংশীদার ও বন্ধুদেরকে মালিকানা বিরোধের সাথে জড়িয়ে ভিত্তিহীন, বানোয়াট, নির্জ্জলা মিথ্যাচার করা হয়েছে। এটি একটি জঘণ্য অপরাধ। আমরা এমন অপরাধীদের ধিক্কার জানাই। সত্য প্রকাশে আপনাদের কাছে ও পাশে পেতে চাই। আমরা আপনাদের সুস্থ্য কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ইস্টিশনের পাঠনার মহিবুল হক রাসেল, দিদারুল ইসলাম ভুঞা, মিজানুর রহমান খান, মোরশেদুল আলম প্রিন্স, আলতাফ হোসেন ভুঞা, আসিফ গোফরান বাবু, আবুল হাসনাত সবুজ, আক্তার হোসেন বাবু, কামাল উদ্দিন ও সময় টিভির ফেনী ব্যারো চিপ বখতেয়ার মুন্না ।