দিদার মজুমদারঃ নোয়াখালির সোনাইমুড়িতে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা,বাড়িঘর লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার ফেনী রিপোটার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ফেনী জেলা হেযবুত তওহীদ।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফেনী জেলা হেযবুত তওহীদের সদর কমিটির সভাপতি রিয়াদ হোসেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সমকালের ষ্টাফ রিপোর্টার শাহজালাল রতন, কলকাতা টিভির ফেনী জেলা প্রতিনিধি মোঃ তারিকুল ইসলাম, জেটিভি প্রতিনিধি শেখ রাসেল, দৈনিক দেশেরপত্র প্রতিনিধি আবদুল ওয়াহেদ মামুন, দৈনিক যুগান্তরের সোনাগাজী প্রতিনিধি জাবেদ মামুন,দৈনিক আজকের বসুন্ধরা ও ফেনী সমাচার প্রতিনিধি মনসুর আহমদ, সাপ্তাহিক হকার্স প্রতিনিধি দিদার মজুমদার, নির্ভীক প্রতিনিধি মোঃ রুবেলসহ প্রমূখ। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন। তারা বলেন, ধর্ম ব্যবসায়ীরা হেযবুত তওহীদকে হামলার লক্ষ্য বস্তু বানিয়েছে তার কারন হেযবুত তওহীদ এদেশে ধর্মের দোহাই দিয়ে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল, সাম্প্রদায়িকতা,জঙ্গিবাদসহ ধর্মের নামে প্রচলিত প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজেদের জীবন সম্পদ উৎসর্গ করে আদর্শিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। হেযবুত তওহীদ এই সত্য তুলে ধরার দরুন ধর্ম ব্যবসায়ীদের মুখোশ খুলে যাচ্ছে, জনসাধারণের উপর থেকে তাদের প্রভাব হারিয়ে যাচ্ছে। মূল বক্তব্যে বলা হয়,তিন বছর আগে সোনাইমুড়িতে স্থানীয় দাঙ্গা সৃষ্টিকারী আলেমরা নিকটবর্তী এলাকার বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে তাদের ছাত্রদেরকে নিয়ে হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমামের বাড়িতে আক্রমণ করে।ধর্ম ব্যবসায়ীরা প্রোপাগান্ডা চালায় যে,হেযবুত তওহীদ খ্রিস্টান তারা গীর্জা নির্মাণ করছে।তারা সকাল থেকে স্থানীয় কয়েকটি মসজিদের মাইকে বলতে থাকে যে,গীর্জা ভাঙ্গো, খ্রিস্টান মারো। তাদের উসকানিতে স্থানীয় জামায়াত - শিবির,ইসলামি শাসনতন্ত্র আন্দোলনের সন্ত্রাসীরা সহ মাদ্রাসার উণ্মাদ ছাত্র-শিক্ষকগণ নির্মাণাধীন মসজিদটিকে ভেঙে গুড়িয়ে দেয়।উপস্থিত হেযবুত তওহীদের প্রত্যেককে মারাত্মকভাবে আহত করে। সন্ত্রাসীরা মোঃসোলায়মান খোকন ও ইব্রাহিম রুবেল নামে হেযবুত তওহীদের দুজন সদস্যকে জবাই করে চোখ উপড়ে হাত পায়ের রগ কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে।এক পর্যায়ে পেট্রল ঢেলে লাশের গায়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। যখন পুলিশ আহত অবরুদ্ধ মরনাপন্ন হেযবুত তওহীদের কর্মীদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়িতে তোলে,তখন তাদেরকে গাড়ি থেকে নামিয়ে হত্যা করার জন্য গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশ ও বিডিআর বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীরা হামলা চালাতে থাকে। হেযবুত তওহীদের অভিযোগ, এই ঘটনায় তারা আক্রান্ত হলেও আক্রমণকারীদের সাথে তাদেরকেও মামলার আসামি করেছে পুলিশ। হামলাকারীদের মধ্যে অনেকেই প্রকাশ্যে দাপটের সাথে ঘুরে বেড়াছে। তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকলেও পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করছে না।এই সন্ত্রাসীরা আবারও হামলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে সোনাইমুড়ি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সমস্ত সন্ত্রাসীদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি করা হয়। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হেযবুত তওহীদের সদস্যদের ক্ষতিপূরণ ও পূর্নবসনেরও দাবি জানানো হয়।