ভালোবাসতে দিনক্ষন লাগে না, নেই কোনো স্থান-কাল-পাত্রের ভেদাভেদ। ভালোবাসা সবার জন্য উন্মুক্ত। মন থেকে কাউকে ভালোবাসা নিবেদন করতে নির্দিষ্ট দিনের প্রয়োজন হয় না। তারপরও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস সমাজের প্রত্যেকটি মানুষের জন্য একটি বিশেষ দিন। এ দিনটিতে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাতে ফুল তুলে দিয়ে, জন্মদিনের কেককেটে আর এক বেলা ভালো খাইয়ে ফেনীতে ব্যতিক্রমী আয়োজনে বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবস উদযাপন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সহায়’। ‘একদিনের জন্য নয়,ভালোবাসা হোক প্রতিক্ষনের’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সংগঠনটির এ আয়োজনে সাড়া দিয়েছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তা ব্যক্তিসহ শহরের গণ্যমান্যরাও। বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) ফেনী শহরতলীর কাজীরবাগ ইকো পার্কে দিনব্যপী আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মঞ্জিলা আক্তার মিমির পরিচালনায় ও প্রধান উপদেষ্টা মহিনুর জাহান লাবনীর সভাপিতত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিথি ছিলেন ফেনী জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ হাসান শাহরিয়ার কবির, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসএম কায়সার, ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) আবুল কালাম আজাদ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) রাশেদ খান চৌধুরী, ডিআইওয়ান মোঃ শাহীনুজ্জামান, পুনাক ফেনীর সভাপতি মোনালিসা পারভীন, ফেনী সদর উপজেলার কাজির বাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী বুলবুল আহমেদ সোহাগ, ফেনী প্রেসক্লাবের সভাপতি আসাদুজ্জামান দারা, ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আরিফুল আমীন রিজভী, সাধারণ সম্পাদক মাইন উদ্দিন, ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ আবু তাহের ভূইঁয়া প্রমূখ। অনুষ্ঠানের সার্বিক আয়োজনে ছিলেন, সংগঠনের সদস্য জুলহাস তালুকদার, সোলায়মান হাজারী ডালিম, মোহাম্মদ দুলাল তালুকদার, ইয়াছির আরাফাত রুবেল, মোঃ পারভেজসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা। ফেনীর জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামান বলেন, ফেনীতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা আর সুবিধাবঞ্চিত নেই। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ জেলার অনেকেই আজ তাদের পোশে এসে দাড়িয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায় তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসক বলেন, এ শিশুদের জন্য আমাদের ভালোবাসা একদিনের জন্য নয় ভালোবা, বছরের প্রতিক্ষনের। ভিন্নধর্মী এ আয়োজনের ব্যাপারে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মিঞ্জিলা আক্তার মিমি বলেন, সমাজের উপর তলার মানুষগুলো বেশ ঘটা করেই সন্তানদের জন্মদিন পালন করে থাকে। কিন্তু নিচুতলার সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা জন্মদিন কি তাও অনেকে জানেনা। আমরা কেক কেটে, ফুল দিয়ে ও ভালো খাবার বিতরণ করে তাদেরকে জন্মদিনের আনন্দ দিতে চেয়েছি। ভালোবাসা দিবসে তারাই বা কেন ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত থাকবে! কেন তাদের আমরা কাছে টেনে নেব না?