ইয়াছির আরাফাত রুবেল ঃ গত ২৮ জানুয়ারি ফেনী ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নের খাজুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর আংশিক বাক প্রতিবন্ধী ছাত্রী বিবি মরিয়ম (১২) স্কুল চলাকালীন সময়ে আবর্জনার স্তুুপে প্লাস্টিকের আগুনে পুড়ে যায়। সেদিনই তাকে ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান তার পরিবার। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তাররা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে ভর্তির পরামর্শ দেন। কিন্তু অসচ্ছল অসহায় পরিবারের সন্তান মরিয়মকে ঢাকায় নেয়ার আর্থিক সামর্থ্য নেই তার পরিবারের। মরিয়মের মা রুমা আক্তার তার মেয়ের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের নিকট আবেদন জানিয়েছেন। মরিয়ম গত এক সপ্তাহ যাবত সে ফেনী জেলা সদর হাসপাতালের নতুন ভবনের চতুর্থ তলায় ৪২০ নাম্বার কক্ষে চিকিৎসাধীন ছিল। এ খবর পেয়ে সাংবাদিক দুলাল তালুকদার ও ইয়াছির আরাফাত রুবেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মেয়েটির জন্য একটি মানবিক আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ ৫ ফেব্র“য়ারি ইউকে বাংলা সেল্টার নানিংটন, ইউকে প্রতিষ্ঠাতা ভাবনা খাঁন ও মোঃ রাকিবুল হাসান তাদের সংগঠন থেকে নগদ ১৫ হাজার টাকা ফেনী জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামানের মাধ্যমে বিবি মরিয়মের মায়ের হাতে তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেনীর সিভিল সার্জন হাসান শাহরিয়ার কবির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুজন চৌধুরী, সময় টিভির ফেনী ব্যুরো চীফ বখতেয়ার ইসলাম মুন্না, চ্যানেল আই ফেনী জেলা প্রতিনিধি রবিউল হক রবি, সামাজিক সংগঠন সহায়’র সমন্বয়ক মঞ্জিলা মিনি চিত্র সাংবাদিক জুলহাস তালুকদার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সৈদি প্রবাসী কাজী সোহেল বিকাশের মাধ্যমে সাংবাদিক দিদার মজুমদারের একাউন্টে ১০ হাজার টাকা প্রেরণ করেন। মরিয়মের মা জানান, বিভিন্ন সময়ে মরিয়মের মায়ের মোবাইলের বিকাশ একাউন্ডে বেশ কিছু টাকা পাঠান বিভিন্ন ব্যক্তি। আজ ৫ ফেব্র“য়ারি অগ্নিদ্বগ্ধ মরিয়মকে ঢাকা বার্ণ ইউনিটে প্রেরণ করা হয়েছে।