সোনাগাজী প্রতিনিধি : সোনাগাজীর বগাদানা ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামে একটি হিন্দু বাড়িতে দুর্বৃত্তের আগুনে ৩টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুলিশ বলছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সত্যতা তদন্ত করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে জানায়, একদল দুর্বৃত্ত শনিবার দিনগত রাত (১৬ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে কেরোসিন তেল ছিটিয়ে তাদের তিনটি বসতঘরে আগুন দেয়। এতে ডাঃ বারিন্দ্র কুমার শিল বাড়ির শিশির কুমার শীল, রণজিত কুমার শীল, অজিত কুমার শীল, সুজির কুমার শীলের বসত ঘর ও মনিন্দ্র কুমার শীলের রান্নার ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা অত্যন্ত সরু হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। এদিকে ঘটনার পর পরই বাড়ির লোকজনের শৌর চিৎকারে স্থানিয় গ্রামবাসি এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও অগ্নিকাণ্ডে ঘরগুলো সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত শিশির কুমার শীল দাবী করেন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫টি পরিবারের অন্তত ১৫ লাখ টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। গৃহকর্তি সুরভী রানী সেন ও বেবি রানী শীল জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরিধেয় কাপড় ছাড়া বসতঘরের কোন জিনিসপত্রই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তারা এজঘন্য ঘটনায় জড়িত দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবী জানান। সোনাগাজী উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু জগদীশ চন্দ্র শীত জানান, প্রতিটি নির্বাচনের আগেই এই অঞ্চলের হিন্দুসম্প্রদায়ের লোকজন নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমরা প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানাই আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তারের করে আইনের আওতায় আনা হোক। সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)মোঃ সোহেল পারভেজ বলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম ও মডেল থানার ওসি সহ আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এব্যপারে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোকে তাৎক্ষনিক ১০টি কম্বল, নগদ দশ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেনজানান, ঘটনা শুনে রাতেই সোনাগাজী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ক্ষতিয়ে দেখছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের দিনও একই বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছিল।