ফেনী ০২ আসনের বিএনপি দলীয় প্রার্থী ও বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীনকে অবরুদ্ধ করার অভিযোগ উঠেছে সরকার দলীয়দের বিরুদ্ধে। শনিবার (০১ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে তিনি তার নির্বাচনী কার্যালয়ে জনাকীর্ণ সাংবাদ সম্মলনে এ অভিযোগ করেন। এসময় তিনি বলেন, গত ২৮ নভেম্বর ফেনী ২ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে জেলা রিটার্নিং অফিসারের নিকট মনোয়ন পত্র দাখিলের পর থেকেই সরকার দলীয় স্বশস্ত্র ক্যাডাররা আমার বাড়ির সামনে মোটর সাইকের করে মহড়া দেয়, ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং গালি গালাজ করে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার ও বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বলে এবং তা না করলে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। তিনি আরো বলেন, ক্যাডাররা তারঁ শহরের ফলেশ্বরস্থ বাড়ির প্রধান প্রবেশ মুখ, সদর উপজেলা কার্যালয়ের মোড়, সদর হাসপাতাল মোড়, পলিটেকনিক ইন্সটিউট মোড়, পুরাতন রাণীর হাট ও বাড়ির পশ্চিম পাশের ফেনী- বিলোনয়া রেল লাইনসহ আশ-পাশের এলাকায় প্রায় তিন শতাধিক অস্ত্রধারী ক্যাডার অবস্থান নেয়। এদের মধ্যে শহরের ৫ নং ওয়ার্ডের আবুল কালাম, জাহিদুল ইসলাম, আজম খান, সজিব, আরাফাত, সাদ্দাম এবং ৬ নং ওয়ার্ডের ফলেশ্বর গ্রামের আবদুল হালিম, রফিকুল ইসলাম রুবেল, আবদুল করিম, আবদুল হালিম সুমন, সোনাপুর গ্রামের গনিসহ অজ্ঞাত আরো অনেক ক্যাডার রয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী ২ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলা রিটার্নিং অফিসার মোঃ ওয়াহিদুজজামান, পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার, ফেনী মডের থানার পরিদর্শক (ওসি) আবাুল কালাম আজাদসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানারোর পরও কোন প্রতিকার পাননি বলে অভিয়োগ করেন। তিনি আরো বলেন,অবরুদ্ধ অবস্থায় তাকে দেখতে আসার পথে অস্ত্রধারী ক্যাডাররা রাজনৈতিক লোকজন ছাড়াও এলাকার সাধারণ মানুষকে শারিরিকভাবে আঘাত করে এবং কাজীরবাগ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামছু মিয়া, ফরহাদ নগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বাচ্ছু, শর্শদি ইউনিয়নের তারেক, ইকবাল, মনি, ইয়াসিন শাহাদাত এবং ফতেহ পুরের বৃদ্ধ ব্যবসায়ী জয়নাল আবদীন ভ’ঞাঁসহ কয়েকজনকে মারধর ও নির্যাতন করে পুলিশে সোপর্দ করে। সর্বশেষ তিনি দ্যর্থহীন কন্ঠে বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, কোন প্রকার ভয়-ভীতিকে পরোয়া করিনা। আমাকে জানে মেরে ফেললেও আমি নির্বাচন থেকে সরে যাবো না।