বিশিষ্ট অভিনেত্রী, নির্মাতা ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া প্রাচী তার নিজ এলাকায় নৌকার অভিনব প্রচারণায় নেমেছেন। সোমবার সকাল থেকেই একটি গাড়ি বহরে করে তিনি ফেনী-৩ আসনে (দাগনভূঞা-সোনাগাজী) নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন।
সোনাগাজী জিরো পয়েন্টে থেকে ব্যতিক্রমী এই গাড়ি বহর প্রচারণা দেখতে রাস্তার পাশে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করে। এসময় সোনাগাজী বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে উন্নয়নের প্রচারণা তুলে ধরে গণসংযোগ করেন। বহরে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, মিডিয়া ও সাংস্কৃতিককর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সুসজ্জিত গাড়ি করে সচিত্র অভিনব উন্নয়ন প্রচারণা পুরো উপজেলার মানুষের মুখে মুখে। ব্যতিক্রমী প্রচারণা দেখতে দলে দলে লোক ভিড় জমায়। গণসংযোগকালে রোকেয়া প্রাচীর নৌকার স্লোগান ধরার দৃশ্যটি উপস্থিত সবাইকে আকৃষ্ট করে।
প্রচারণা অনুষ্ঠানে রোকেয়া প্রাচী বলেন, ২২ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপি এই প্রচারণায় অংশ নেবেন তিনি। এর মধ্যেই সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু কর্মসূচি থাকবে বলেও জানান রোকেয়া প্রাচী। তিনি বলেন, আমি সোনাগাজীর মেয়ে। এখানে নৌকার বিজয়ের জন্য কাজ করছি অনেক দিন ধরেই। এবার এলাকাবাসীর জন্য বিশেষ প্রচারণার ব্যবস্থা করছি। যা একেবারেই নতুন। আমার এই প্রচারণায় থাকছে দেশরতœ, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের গল্প। যে উন্নয়ন গত দশ বছরে দেখে আসছে। জনগণ প্রধানমন্ত্রীকে আবারো নৌকায় ভোট দিয়ে যেন উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার সুযোগ করে দেন- এজন্যই আমার এই প্রচারণা।
রোকেয়া প্রাচী আরও বলেন, নৌকার প্রচারণার পাশাপাশি দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলায় বেশ কয়েকটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবো। তবে এগুলোও নৌকার প্রচারণার অংশ হয়ে থাকবে।
অভিনয় ও নির্মাণের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রোকেয়া প্রাচী। আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি ফেনী-৩ আসনের প্রার্থী হিসেবে দল থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলেও জানান। এ প্রসঙ্গে নন্দিত এ অভিনেত্রী বলেন, আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত দীর্ঘদিন ধরে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বড় হয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্ব করছি, নারী হিসেবে নারীদের প্রতিনিধিত্ব করছি, সংস্কৃতিকর্মী হিসেবে সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষদের প্রতিনিধিত্ব করি, একই সঙ্গে শ্রমিক নেত্রী হিসেবে শ্রমিক ফেডারেশন ও তৃণমূলের শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তবে অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নেব। ফেনী-৩ আসনের মানুষের জন্য এমপি হিসেবে কাজ করবো। আর যদি সে সুযোগ নাও পাই তারপরও কাজ করবো। আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী আমি বা যে কেউ হোক, সেটা বড় কথা নয়। প্রার্থী যেই হোক ভোট চাই নৌকায়। বিজয় হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তাই নৌকার বিজয়ের লক্ষ্যে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছি।