গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে দাগনভূঞাঁ উপজেলা থেকে হান্নান নামের এক স্বেচ্ছাসেবী ফোন করে জানালেন সেখানকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক একটি মেয়ে কন্যা সন্তান প্রসব করেছে।
প্রসবের পর অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক মেয়েটি আশঙ্কাজনক ভাবে রয়েছে। অঝোরে হচ্ছে রক্তখরণ। এদিকে ওই মেয়ের স্বামীর কোন পরিচয় নেই।নবজাতকটি পিতৃ পরিচয় হীন। হাসপাতালের খরচ মেটাতে অভিভাবকরা বাচ্ছাটিকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিলেও প্রসুতি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
খবরটা শুনে আমরা প্রসূতিকে দ্রুত ফেনী সদর হাসপাতালে আনার ব্যবস্থা করি। পরবর্তীতে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। শুক্রবার রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাকে ৭ ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছে, এখোনো সে আশঙ্কামুক্ত নয়।
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক মঞ্জিলা মিমিসহ আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম বিক্রি হওয়া নবজাতককে উদ্ধার করতে হবে। দাগনভূঞাঁ থানায় যাওয়ার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ ভাইয়ের ঐকান্তিক প্রচেস্টায় বাচ্ছাটিকে বিকেল ৫টার দিকে উদ্ধার করা করা হয়।
এরপর ফেনীর সিভিল সার্জন ডাঃ হাসান শাহরিয়ার কবির(Hasan Shahriar Kabir ) ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট পিকেএম এনামুল করিমের(Enamul Karim) পরামর্শে বাচ্ছাটিকে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে আনা হয়। সিদ্ধান্ত হয় পরবর্তী প্রদক্ষেপ নেয়ার আগ পর্যন্ত মেয়েটিকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উই ক্যান চেঞ্জ ইউথ সোসাইটির সংগঠক মঞ্জিলা মিমির(Monjila Mimi) জিম্মায় ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের একটি কক্ষে রাখা হবে।
মেয়েটি বর্তমাণে খুব আদর আর পরম যত্নে হাসপাতালে ৪০২ নাম্বার কক্ষে রয়েছে। আমারা মেয়েটির নাম রেখেছি জান্নাতুল মাওয়া।