সদর উপজেলার ধর্মপুর সরকারি আবাসন ও আশ্রায়ণ প্রকল্পের ভূমিহীন অসহায় ৪শ পরিবার পেলো কোরবানীর মাংস। ফলে প্রতি বছর কোরবানীর ঈদের দিনের ন্যায় এবার তাদের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাংস আনতে হয়নি।
এ প্রকল্পে ঠাঁই পাওয়া পরিবারের বসবাসরত পুরুষদের অনেকে দিনমজুর, রিকশাচালক। মহিলাদের মধ্যে অনেকে আশপাশের গ্রামে গৃহকর্ম ও ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবনধারণ করে।
ফটো সাংবাদিক ও ফেনীর নিবেদিত সমাজকর্মী দুলাল তালুকদারের প্রস্তাব ও উৎসাহে সমাজকর্মী মনজিলা মিমি, সংবাদকর্মী ডালিম হাজারী ও ইয়াসির আরাফাত রুবেলের সার্বিক সহযোগিতায় আশ্রায়ণ প্রকল্পের অসহায় মানুষের জন্য গরু কোরবানীর সিদ্ধান্ত হয়। সেই থেকে শুরু হয়েছিল অর্থ সংগ্রহ। সবার সহযোগিতায় সংগৃহীত অর্থে ঈদের আগের দিন দুটি গরু কিনে দেয়া হয় ধর্মপুর আবাসন ও আশ্রায়ণ প্রকল্পের সভাপতিদের কাছে। ঈদের দিন চারশত পরিবারের কাছে ভাগ করে দেয়া হয়েছে কোরবানীর মাংস।
ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর দিক নির্দেশনা ও পুলিশ সুপার এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকারের তত্বাবধানে এ মহৎ উদ্যোগে সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. মামুন, পুলিশ সুপারের সহধর্মীনী ও পুনাক ফেনী জেলা সভাপতি মোনালিসা পারভীন সোনি, ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সাজেল, দাগনভূঁইয়া পৌর মেয়র ওমর ফারুক খান, সামাজিক সংগঠন উই ক্যান চেইঞ্জ ইয়ুথ সোসাইটি'র উপদেষ্টা জিয়াউল আলম মিস্টার, ফেনী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি মহিনুর জাহান লাভনী, ফেনী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ আবু তাহের ভূঁইয়া, ফেনী শহর মুদ্রণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল আলম রিজভী, ধর্মপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন শাকা, পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মানিক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ফেনী শাখার ম্যানেজার মনোয়ার হোসেন সেন্টুসহ আরও অনেকে।