ফেনী শহরের মহিপালে যানজট ও আবর্জনার প্রকোপ লাঘব করার লক্ষ্যে ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে আজ ৫ জুলাই, ২০১৮ তারিখে দিনভর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন ফেনী। এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা। এসময় ফলের ট্রাক রেখে রাস্তা অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করায় মহিপালের শাহাদ এন্টারপ্রাইজের মালিক সাইফুল ইসলাম (২৮) কে ১০,০০০ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। মহিপালের প্রায় ২০০ টি দোকানের আবর্জনা রাস্তার প্রায় উপরে চলে আসতে দেখা যায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পৌরসভার ময়লার গাড়িসহ অভিযানে যান। দুই ঘন্টার মাঝে যৌথভাবে ফল মালিক সমিতি ও পৌরসভা ময়লা সরিয়া গন্ধ লাঘবে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। অভিযান পরিচালনা করা হয় আনসার ক্যাম্পের পাশে দক্ষিণ চাড়িপুরে আল আমিন চিড়া মুড়ি মিলের কারখানায়। বুট ভাজির সাথে কেমিক্যাল রঙ মিশিয়ে ভাজার অপরাধে প্রতিষ্ঠানের মালিক হাজী আব্দুল করিম (৫৫) কে ৫০,০০০ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। জব্দ করা হয় দুই ড্রাম রং। অভিযান পরিচালনা করা হয় মহিপালের মহিপাল বীজ ভান্ডারে। এই প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে বেশি দামে সরকারি বীজ বিক্রয়ের পূর্বের অভিযোগ ছিল। দোকানে গিয়ে দেখা যায় নোয়াখালীর সেনবাগের ফকিরহাটের জিরুয়া গ্রামের কৃষক আবুল খায়েরের কাছে ১০ কে.জি. বি আর -২২ ভিত্তি বীজ ৮০০ টাকা বিক্রির প্রস্তাব করেছেন। আরো একজন ক্রেতা পাওয়া যায় যার কাছে ১০ কে.জি. বীজ ৮৫০ টাকা দাবি করেছেন। ১০ কে.জি. বি আর-২২ ভিত্তি বীজের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্য ৬৩০ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির মালিক আবুল খায়ের মুন্সি (৬২) কে ৪০,০০০ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। এ সময় প্রতিষ্ঠানের মালিক বীজ মার্কেটিং অফিস এর উপ-পরিচালক এর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উথাপন করেন। অভিযানে পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর কৃষ্ণময় বণিক, সদর উপজেলা সানিটারি ইন্সপেক্টর আব্দুর রহমান ও ব্যাটালিয়ান আনসারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।