শহর প্রতিনিধিঃ ফেনী শহরের শান্তি কোঃ রোডের অস্থায়ী ভাড়াটিয়া বাসিন্দা মোঃ রুবেল'র স্ত্রীর মা ও ভাই কর্তৃক বারবার নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছেন। ২০১২ সালের ২৪ শে জানুয়ারী সায়মা আক্তার শিরিন পিতা দেলোয়ার হোসেন এর সংগ্যে মোঃ রুবেল পিতা আলমগীর হোসেন এর সাথে ২ লক্ষ টাকা দেন মহরে বিয়ে হয়। বিয়ের ১ বছর পর তাদের কন্যা সন্তান জাফরিন মেহেনুর রায়হা জন্মলাভ করে। রুবেল জানান তার কন্যা সন্তান জন্মের পর দাম্পত্য জীবনে সুখে সাচ্চন্দ্যে অতিবাহিত হওয়া অবস্থায় বিগত ১ বৎসর যাবৎ জুয়েল ও তার পিতা দেলোয়ার হোসেন আমার অবর্তমানে আমার স্ত্রীর নিকট গোপনে আসিয়া ও মোবাইল ফোনে কথা বলিয়া কাবিনের বিষয় নিয়া আমার স্ত্রীকে বিভিন্ন ভুল বুঝাইত। যার ফলে আমার স্ত্রী সর্বদা দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাইত। আমি কর্ম শেষে ঘরে আসা মাত্রই আমার স্ত্রী আমার সহিত বিভিন্ন অজুহাত দেখাইয়া নানারকম দুর্ব্যহার শুরু করিত। আমি এর কারন জানিতে চাওয়া মাত্রই আমার স্ত্রী রাগান্বিত হইয়া তৎ পিত্রালয়ে চলিয়া যাইত। উক্ত বিষয় নিয়া কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আমার স্ত্রী গত ১২ জানুয়ারী ১৮ইং রাত অনুমান ১২.৩০ ঘটিকার সময় টয়লেটে ব্যবহৃত হারপিক সেবন করে। আমি তাৎক্ষনিক আমার স্ত্রীকে নিয়া ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করালে ডাঃ তাকে চিকিৎসার পর শারীরিক অবস্থা আশংকামুক্ত বলিয়া বাসায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ডাক্তারের পরামর্শে আমি আমার স্ত্রীকে বাসায় নেয়ার ২দিন পর আমর স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখিয়া আমি আমার স্ত্রীকে গত ১৫ জানুয়ারী ফেনী নিউ ইবনেসিনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার আমার স্ত্রীকে কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। পরে কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার আমার স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। ডাক্তারের পরামর্শে আমি আমার স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করি এবং চিকিৎসা শেষে অবশেষে ১১ এপ্রিল ১৮ ইং আমার স্ত্রীকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় ফেরার পথে আমার স্ত্রীর ভাই পূর্বপরিকল্পিত ভাবে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে শান্তি কোম্পানি রোডের দিল ভবনের সামনে আমাদের সিএনজির গতিরোধ করে আমার স্ত্রীকে টানা হেছড়া করে নামাইয়া আমার স্ত্রীকে অন্যত্র স্থানে নিয়া যায়। তৎক্ষনাত আমার শোর চিৎকারের পাশ্ববর্তী লোকজন আসিলে অস্ত্রের ভয় দেখাইয়া স্তব্দ করে এবং আমাকে সন্ত্রাসী বিহিনী দিয়ে মারধর করে। পরে এ বিষয়ে আমি থানায় অভিযোগ করিলে গত ২১ এপ্রিল রাতে আমাকে হত্যার উদ্দেশে রড,চুরি,চাপাতি,দা দিয়া ১০/১২ জন সন্ত্রাসী আমাকে এলো পাতাড়ি কুপিয়ে ঝখম করে,আমার শোর চিৎকারে কিছু লোক এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়,এবং একজন সিএনজি চালক আমাকে উদ্ধার করিয়া হাসপাতালে নিয়া আসেন।এমন হীন আচরন এলাকার কাউন্সিলর কে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত সফল কোন ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেন নাই।