নিজস্ব প্রতিনিধি>>
চতুর্থ বিয়ে করতে গিয়ে প্রথম স্ত্রীর নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় শ্রীঘরে গেল বিয়ে পাগল আবদুল্লা স্বপন । ঘটনাটি ঘটেছে ফেনী শহরের বারাহীপুর গ্রামে । সৌদি প্রবাসী আবদুল্লা স্বপন গাজীক্রস রোডের মজল হকের ছেলে ।
মামলা বিবরণ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর ফেনী শহরের বারাহীপুর গ্রামের মজল হকের ছেলে আবদুল্লা স্বপনের সাথে ৩ল টাকা কাবিনে বিয়ে হয় একই উপজেলার কাজিরবাগ ইউপির মালিপুর গ্রামের আবদুল হকের মেয়ে রাজিয়া সুলতানার সাথে । এ সংসারে তার এক ৯ বছরের এক মেয়ে, ২ বছরের এক ছেলে ও গর্ভে সন্তান থাকলেও গোপনে বিয়ে করেন ফুলগাজী উপজেলার জিএমহাট ইউপির বশিকপুর গ্রামের আজিজুল হক খোকনের মেয়ে হিজবুত তাওহিদ সদস্য খোতেজা আক্তার এ্যানীকে । ২০১৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তাদের বিয়ে হবার কথিত সত্যতা পাওয়া গেলেও কোনো রকম কাবিন পাওয়া যায়নি।
এ ব্যপারে মেয়েটির বাবা আজিজুল হক খোকন জানান, স্বপনের ব্যপারে তিনি কিছুই জানেন না । পরে তিনি বিষয়টি জানাবেন ।
দুই লাখ টাকা কাবিনে তৃতীয় বিয়ে হয় কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী চাপাচৌ গ্রামের আবদুল মালেকের মেয়ে নিলুফা ইয়াছমিনের সাথে ।
সবকয়টি বিয়ে গোপন রেখে গত ২৩ মার্চ দ্বিতীয় স্ত্রী খোতেজা আক্তার এ্যানীর বড় বোন ফেরদোস আরাকে বিয়ে করতে গিয়ে প্রথম স্ত্রীর হাতেনাতে ধরা পড়ে আবদুল্লাহ স্বপন । এ সময় পুলিশের সহায়তায় বিয়ে বন্ধ করে এ্যানী ।
প্রথম স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা স্বামীর একের পর এক অবৈধ বিয়ের প্রতিবাদ করায় তার উপর নেমে আসে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন । নির্যাতন সইতে না পেরে ফেনীর রাজিয়া ফেনী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করে । শনিবার আবদুল্লা স্বপনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে । বর্তমানে সে হাজতে বন্দি ।
এ ব্যপারে জিএমহাট ইউপির চেয়ারম্যান মজিবুল হক জানান, স্বামীর বিরুদ্ধে বহু বিয়ের অভিযোগ এনে হতাশাগ্রস্থ নারী রাজিয়া সুলতানা আমার কাছে এসেছিল আমি আমার সাধ্যনুযায়ী সাহায্য করার চেষ্টা করেছি ।